জাতীয় শোক দিবস ২০১৫ উপলক্ষে ৪০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ। ‘রোগীর সেবায় হই আরো যত্নবান’ শ্লোগান নিয়ে ১ আগষ্ট থেকে ৪০ দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন শুরু হয়েছে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে আগামী ১৫ আগষ্ট সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিএসএমএমইউ’র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বর্হিঃবিভাগে সম্পুর্ণ বিনামূল্যে হাসপাতালে আগত রোগীদের চিকিৎসা দিবেন। এদিন প্রায় ৮ হাজার রোগীকে চিকিৎসা প্রদানের আশা করছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।সোমবার বিএসএমএমইউ মিল্টন অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান ঘোষিত কর্মসূচির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণার সার্বিক মানোন্নয়নে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে। এখন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনারেল ইমার্জেন্সি শুরু করা সম্ভব হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুহুল আামিন মিয়া, প্রো-ভিসি (পরিকল্পনা) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ শিকদার, প্রক্টর হাবিবুর রহমান দুলাল, কোষাধক্ষ্য অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খান ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম। ৪০দিনব্যাপী কর্মসূচি১ আগস্ট থেকে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ৪০ দিনব্যাপী প্রতিদিন ৪০টি করে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। ৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়নে সকল বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদের ৪০ দিন ব্যাপী কর্মসূচি তুলে ধরা হচ্ছে।১২ থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী, বইমেলা ও বঙ্গবন্ধুর ওপর চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। ১৪ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পমাল্য অর্পন, ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন, বর্হিঃবিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা, সেচ্ছায় রক্তদান, দোয়া মাহফিল ও কবিতা ও গানে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানানো হবে।১৬ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় অডিটরিয়ামে জাতীয় শোকদিবস অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও ভারতীয় হাই কমিশনার পংকজ সরণ উপস্থিত থাকবেন। সব্যসাচি লেখক সৈয়দ শামসুল হক মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।২১ আগস্ট বটতলায় স্বেচ্ছায় রক্তদান, আলোকচিত্র ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। ৩১ আগস্ট স্বেচ্ছায় রক্তদান ও বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীর ওপর বক্তৃতাপর্ব অনুষ্ঠিত হবে। ৯ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে মোমবাতি প্রজ্জলনের মাধ্যমে ৪০ দিনব্যাপী কর্মসূচির পরিসমাপ্তি ঘটবে।এমইউ/আরএস/আরআইপি
Advertisement