কিছুক্ষণের মধ্যে ফজরের আজান পড়বে। রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে তাহাজ্জুদের আজান হলে লাখ লাখ হাজিরা কাবা শরীফের নিচতলা থেকে চারতলা পর্যন্ত ঠাসা ভিড়ের মধ্যে ১২, ৮, ৪ ও ২ রাকাত নামাজ আদায় করেন। তাহাজ্জুদ নামাজের পর সর্বত্র চলে তাওয়াফ।
Advertisement
সবুজ সংকেতের বাতি জ্বলে থাকা প্রান্ত থেকে শুরু হয় তাওয়াফ। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এক এক করে সাত চক্কর কাবা প্রদক্ষিণ করেন হাজিরা। ফজর নামাজের আজানের আধঘণ্টা আগে থেকে তওয়াফ করার স্থান থেকে রাস্তায় জায়নামাজ বিছিয়ে নফল নামাজ পড়তে শুরু করেন তারা।
নিরাপত্তা রক্ষাকারীর সদস্যরা রাস্তা থেকে সরে যেতে আনুরোধ জানালে হাজিরা কেউ কথা শুনেন আবার কেউ শুনেও না শোনার ভান করেন। আবার এক জায়গা থেকে উঠিয়ে দিলে অন্য জায়গায় গিয়ে বসেন। ফজর নামাজের আজানের সময় যত ঘনিয়ে আসে হাজিরা তাওয়াফের রাস্তা প্রায় বন্ধ করে নামাজ পড়তে থাকেন। তাওয়াফ প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা রণমূর্তি ধারণ করে। তারা চিৎকার চেঁচামেচি করে জায়নামাজ তুলে ছুড়ে মারেন, এমনকি গায়ে ধাক্কাও দেন। এ সময় তাওয়াফরত হাজিরা অনেকটা যানজটের মতো অবস্থায় পড়ে যান।
নিরাপত্তা রক্ষাকারী সদস্যদের ক্রমাগত চিৎকার চেচামেচি, বিভিন্ন ভাষাভাষী হাজিদের কথোপকথন ও হৈ চৈয়ে অনেকটা হাটবাজারের পরিবেশ তৈরি হয়। তবে ফজরের আজান পড়ার সাথে সাথে সব শোরগোল বন্ধ হয়ে যায়। যে যে স্থানে থাকেন সেখানেই নামাজের জন্য দাঁড়িয়ে যান। এ এক অভাবনীয় দৃশ্য। কিছুক্ষণ আগেও যেখানে হাটবাজারের মতো পরিবেশ ছিল সেখানে পিনপতন নীরবতা নেমে আসে।
Advertisement
এমইউ/আরএস/এমএস