সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর- এই তিন মাস ১০ টাকা কেজি দরে সারাদেশে ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে চাল দেবে সরকার। পরিবারগুলো এই মূল্যে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণের এই কর্মসূচি ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
Advertisement
খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আরিফুর রহমান অপু জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা আগামী তিন মাস হতদরিদ্র পরিবারগুলোতে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেব। সবাইকে একদিনে দেয়া হবে না। চাল আমরা বরাদ্দ দিয়ে দিয়েছি, বিতরণের অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। কোথাও কোথাও বিতরণ শুরু হয়েছে। কোথাও পৌঁছাতে একটু সময় লাগতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাননীয় খাদ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে আমরা ঢাকার কেরাণীগঞ্জে চলা বিতরণ শুরু করব। এই উপজেলায় এবার আমরা পুষ্টি চাল দেব। এজন্য একটু দেরি হবে। আশা করছি চলতি মাসের ২০/২১ তারিখের মধ্যে আমরা সেটা করতে পারবো।’
এবার সাধারণ চাল ছাড়াও আটটি উপজেলায় পুষ্টি চাল দেয়া হবে। ঢাকার কেরাণীগঞ্জ, গাজীপুরের কালিগঞ্জ, গোপালগঞ্জের মোকছেদপুর, ফরিদপুর সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ও বিজয়নগর, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ এবং বরগুনার বামনা উপজেলায় পুষ্টি চাল দেয়া হবে।
Advertisement
২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় এ ১০ টাকা দরে চাল বিতরণের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
পল্লী অঞ্চলের কর্মাভাবকালীন মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর- এই পাঁচ মাসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য সরকারের। কিন্তু মাঝখানে সরকারি খাদ্যশস্যের মজুদ কমে যাওয়ায় বন্ধ ছিল এই কর্মসূচি।
১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ শুরু করার পর তালিকায় স্বচ্ছল ব্যক্তিদের নাম থাকা, বাইরে বেশি দামে চাল বিক্রি করা, ওজনে কম দেয়াসহ নানান অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভুয়া সুবিধাভোগীদের কার্ড বাতিল, ডিলারশিপ বাতিল, ডিলারদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও বিভাগীয় মামলা, জরিমানাসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হয়।
গত বছরের শুরুর দিকে ৫০ লাখ উপকারভোগীর তালিকাও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে খাদ্য বিভাগ।
Advertisement
গত বুধবার খাদ্য অধিদফতরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি ফুড) ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের (ডিসি ফুড) উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের বছরে এই কর্মসূচি নিয়ে কোনো ধরনের অনিময়-দুর্নীতি দেখতে চান না তিনি।
আরএমএম/এনএফ/জেআইএম