জুনের শেষের দিকে থানা কম্পাউন্ডে রাখা একটি সিএনজি অটোরিকশা থেকে রেছ ও স্ক্র চুরি হয়। এ ঘটনায় পুলিশের উপস্থিতিতে সিএনজি চালক চোর সন্দেহ ভবঘুরে এক শিশুকে অমানবিকভাবে পেটান। কক্সবাজারের চকরিয়া থানা কম্পাউন্ডে ঘটা এ ঘটনার একটি ভিডিও ৩১ আগস্ট রাত থেকে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
Advertisement
ফেসবুকের ভিডিওটি দেখে নির্যাতনকারীকে সনাক্ত করার পর শনিবার দেলোয়ার হোসেন (৩৪) নামে এক সিএনজি চালককে আটক করে পুলিশ। রোববার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চকরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী।
দেলোয়ার চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের পূর্ব কাকারা পাহাড়তলীর ইউছুফ আলীর ছেলে।
চকরিয়া উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছির জানান, ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যায় প্রায় ৮-১০ বছর বয়সের এক শিশুকে অমানবিকভাবে নির্যাতন চালাচ্ছে এক যুবক। ঘটনাস্থলটিও চকরিয়া থানা কম্পাউন্ডে। এরপর খোঁজ লাগানো হয় শিশুটিকে বের করার। কিন্তু তার খোঁজ কোথাও মিলছিল না। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় সমালোচনা শুরু হলে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে চকরিয়া থানা পুলিশ। পরে পুলিশ নির্যাতনকারী সিএনজি চালক দেলোয়ারকে আটক করে।
Advertisement
তিনি আরও জানান, কেউ অভিযোগকারী না থাকায় শনিবার রাত পর্যন্ত আটক দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে সিএনজি চালক দেলোয়ার জানান, তিনি প্রায় সময় তার সিএনজি নিয়ে চকরিয়া থানা পুলিশের ডিউটি করতে যান। রাতে ডিউটি শেষে থানার ভেতরে সিএনজিটি পার্কিং করেন। ওই রাতে শিশুটি তার গাড়ি থেকে রেছ ও স্ক্রু চুরি করে। সকালে খবর পেয়ে শিশুটিকে ধরে ভয় দেখানো হয়েছে। এটি জুন মাসের শেষের দিকের ঘটনা। এ সময় শিশুটি তার বাড়ি উখিয়া উপজেলায় বলে জানায়। পরে তাকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে ভাত খাওয়ানোর পর ছেড়ে দেয়া হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কেউ হয়ত ষড়যন্ত্র করে ভিডিও করে তা ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
চকরিয়া থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। এরপর খবর নিয়ে জানতে পারি গত দুমাস পূর্বে একটি সিএনজি থেকে রেছ ও স্ক্রু চুরি করায় শিশুকে মারধর করে সিএনজি চালক দেলোয়ার। তবে শিশুটি কোন এলাকার জানা যায়নি। এ ঘটনায় চালককে আটক করা হয়েছে। অভিযোগকারী বা র্নিযাতিত শিশুটিকে খুঁজে না পাওয়ায় নিয়মিত কোনো মামলা হয়নি। এরপরও ঘটনার তদন্তের স্বার্থে আটক দেলোয়ারকে ৫৪ ধারায় রোববার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে নির্যাতন ঘটনাটি থানা কম্পাউন্ডে ঘটেনি বলে দাবি করেন ওসি বখতিয়ার।
Advertisement
সায়ীদ আলমগীর/আরএ/আরআইপি