বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পবিত্র হজ পালনে যারা মক্কায় আসেন তাদের সবারই টার্গেট থাকে আল্লাহর ঘর কাবা শরীফে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। তবে ভেতরে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত হলে নিরাপত্তাকর্মী হাজিদের বাইরে কাবা প্রাঙ্গণে অথবা ছাদে পাঠিয়ে দেন। অনেক সময় প্রাঙ্গণেও ঠাঁই মেলে না।
Advertisement
কাবা প্রাঙ্গণেই নামাজ আদায়ের জন্য একটি মসজিদ হাজিদের কাছে অনেক পছন্দের। মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.)-এর একাধারে শ্বশুর, আয়েশা সিদ্দিকীর (রা.) বাবা এবং চার খলিফার প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর (রা) -এর বাসভূমিতে গড়ে উঠেছে এ মসজিদ। হাজিদের মধ্যে যারা প্রচন্ড ভিড় ও গরমে ঠেলাঠেলি পছন্দ করেন না তারা নিয়মিত এ মসজিদে নামাজ আদায় করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাবা শরীফ প্রাঙ্গণে বহুতল ভবনের চতুর্থ তলায় বিশাল এলাকা জুড়ে আবু বকর মসজিদ। মসজিদের পুরোটাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। পুরো মসজিদ সবুজ ও হলুদ রঙের কার্পেটে মোড়ানো। মসজিদের ভেতরে একাধিক কাঠের সেলফে কোরআন শরীফ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। প্রচন্ড গরমের কারণে অনেকেই মসজিদটিতে খানিক বিশ্রাম নেন।
চারতলায় মসজিদ হলেও সুউচ্চ ভবনটিতে হরেক রকমের পণ্য কেনার জন্য শপিং মল ও ফাস্টফুডসহ বিভিন্ন ধরনের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। হাজি ও মুসল্লিদের জন্য দ্বিতীয়তলা রয়েছে উন্নতমানের টয়লেট।
Advertisement
বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার বাসিন্দা আলতাফ হোসেন বলেন, এ মসজিদে নামাজ পড়তে অনেক ভালো লাগছে। এক সময় এ ভবনে খলিফা ও সাহাবীদের পা পড়েছে, তা ভাবতেই ভালো লাগে।
বাংলাদেশ থেকে এবার পবিত্র হজ পালনে মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ২৯৮ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) সৌদি আরবে গেছেন। হজ পালন করতে গিয়ে সেখানে এ পর্যন্ত মোট ১০২ জন বাংলাদেশি ইন্তেকাল করেছেন। হজ শেষে হাজিদের ফিরতি হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে গত ২৭ আগস্ট।
এমইউ/আরএস/আরআইপি
Advertisement