মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন উপকূলের কাছে মারতাবান উপসাগরে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে যে জাহাজটি ভেসে বেড়াচ্ছিল আসলে সেটির গন্তব্য ছিল বাংলাদেশ।
Advertisement
স্যাম রাতুলাংগি পিবি ১৬০০ নামের কন্টেইনার জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার এবং ভাঙার জন্য এটি বাংলাদেশে নিয়ে আসা হচ্ছিল বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
মিয়ানমার উপকূল থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে বিশাল এই মালবাহী জাহাজটিকে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ভাসতে দেখে বিস্মিত এবং শঙ্কিত হয়ে পড়ে কয়েকজন জেলে। তাদের কাছ থেকে খবর পেয়েই বৃহস্পতিবার সেখানে ছুটে যায় মিয়ানমার নৌ বাহিনী। জাহাজটিতে উঠে দেখে সেটিতে কোনো নাবিক বা ক্রু কেউই নেই। বিশাল জাহাজটিতে কোনো পণ্যও নেই। একবারে খালি, সুনসান।
এরপর গত দু’দিন ভূতুড়ে জাহাজটি নিয়ে জোড় আলোচনা চলেছে মিয়ানমারে। অবশেষ মিয়ানমার পুলিশ বলছে তারা রহস্য ভেদ করতে পেরেছে।
Advertisement
আসলে ঘটনা কীঅন্য একটি জাহাজ তার দিয়ে বেঁধে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল স্যাম রাতুলাংগি পিবি ১৬০০ নামের কন্টেইনার জাহাজটিকে। কিন্তু গত সপ্তাহে ঝড়ের ভেতর পড়ে দুটি তারই ছিঁড়ে গেলে কন্টেইনার জাহাজটি পাইলট জাহাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
মিয়ানমার নৌবাহিনী তাদের রেডারের রেকর্ড ঘেঁটে দুটি জাহাজ দেখতে পায়। পরে বিস্তর অনুসন্ধানের পর উপকূল থেকে ৮০ কিলোমিটার দুরে পাইলট জাহাজটিকে খুঁজে পায়।
মিয়ানমার নৌবাহিনী তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে ‘ইন্ডিপেন্ডেন্স’ নামে ইন্দোনেশীয় ওই পাইলট জাহাজটিতে ১৩ জন ক্রু ছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই ভূতুড়ে জাহাজটির রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।
জানা গেছে, ২০০১ সালে তৈরি মালবাহী জাহাজটি সম্প্রতি অকেজো বলে ঘোষিত হওয়ার পর সেটিকে ভাঙার জন্য বাংলাদেশের চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। এটির ওজন ২৬,৫০০ টন। দুটো জাহাজই এখন মিয়ানমারের নৌবাহিনীর কব্জায়। তারা জানিয়েছে, তদন্ত চলছে।
Advertisement
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, তারা বিষয়টি জেনেছেন এবং নেপিডোতে ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাস বিষয়টি দেখছে।
এনএফ/এমএস