বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খালিশাকান্দি গ্রামের শরিফুল ইসলাম শাহীনের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী রোকেয়া বেগমকে (২৮) একই গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে মহব্বত হোসেনের (২২) সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেছে এলাকাবাসী।
Advertisement
অবৈধকাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় শুক্রবার রাতে তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে গ্রামবাসীর সিদ্ধান্তে শনিবার সকালে তাদের বিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোকেয়ার স্বামী শরিফুল ইসলাম শাহীন কাজের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। এ সুযোগে রোকেয়া ও মহব্বত দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে মেলামেশা করে আসছিল। মহব্বত বয়সে রোকেয়ার চেয়ে ছোট হলেও তাদের পরকীয়া থেমে থাকেনি। রোকেয়া-শরিফুল দম্পতির সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। বড় ছেলের বয়স ১০ বছর, মেয়ের বয়স ৫ বছর।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মহব্বত রোকেয়ার ঘরে প্রবেশ করে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হলে বিষয়টি গ্রামবাসী জানতে পারে। এরপর স্থানীয় লোকজন তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে গ্রাম্য মাতব্বর ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শনিবার সকালে ৫ লাখ টাকা কাবিননামায় তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
Advertisement
এ ঘটনার পর মহব্বত হোসেন বলেন, এক বছর ধরে রোকেয়ার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক। অবশেষে আমাদের সম্মতিতে বিয়ে হয়েছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
স্থানীয় মাতব্বর আজিজুর রহমান বলেন, অবৈধকাজে লিপ্ত থাকার সময় মহব্বত ও রোকেয়াকে এলাকাবাসী হাতেনাতে আটক করে। পরে সবার সিদ্ধান্তে তাদের বিয়ে দেয়া হয়। বিয়েতে ওই যুগলের সম্মতি ছিল। এর আগে একই বৈঠকে রোকেয়া ও শরিফুলের তালাকনামা করা হয়।
এ বিষয়ে শাহজাহানপুর থানা পুলিশের ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জানার পর শনিবার জাহাঙ্গীর আলম নামের একজন এসআইকে পাঠানো হয়েছিল। গ্রামবাসীর সিদ্ধান্তে বিয়ে হওয়ায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
লিমন বাসার/এএম/আরআইপি
Advertisement