নবজাতক শিশুকে যাবতীয় বদ নজর থেকে রক্ষার জন্য কপালের এক পাশে বড় করে কালো ফোঁটা দেয়া হয়। বিশেষ করে নবজাতককে যখন ঘরের বাইরে কোথাও নিয়ে যাওয়া হয় তখন প্রত্যেক মা এ কাজটি করেন। ইসলাম কোনোভাবেই এটিকে সমর্থন করে না।
Advertisement
কালো ফোটা কিংবা টিপ বদ নজর থেকে নবজাতককে রক্ষা করার ক্ষমতা রাখে না। বরং যখন কোনো নবজাতক জন্ম গ্রহণ করতো তখন সাহাবায়ে কেরাম তাদের সন্তানদের রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে নিয়ে যেতেন।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সে সব নবজাতকদের মুখে খেজুর চিবিয়ে দিতেন অতঃপর বরকতের দোয়া করতেন। নবজাতক ভূমিষ্ঠ হলে গোসল করানোর পর তার ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দিতেন।
প্রত্যেক নবজাতকের জন্য তিনি বরকতের দোয়া করেছেন এবং দুনিয়ার যাবতীয় বদ নজর থকে রক্ষায়ও তিনি দোয়া করেছেন। সহিহ বুখারির এক বর্ণনায় এসেছে-হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত হাসান ও হজরত হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমা (উভয়ের জন্য আল্লাহর কাছে এভাবে) আশ্রয় প্রার্থনা করতেন-
Advertisement
أُعِيْذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَّهَامَّةٍ وَّمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ
উচ্চারণ : ‘উয়িজুকুমা বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিন ওয়া হাম্মাতিন ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাতিন।’ (কানজুল উম্মাল)
আরো পড়ুন > ইসলামে নামকরণের তাৎপর্য ও গুরুত্ব
অর্থ : সব শয়তান, কীটপতঙ্গ ও বদনজর থেকে তোমাদেরকে আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালেমাসমূহের আশ্রয়ে দিচ্ছি।
Advertisement
যদি নবজাতক শিশু একজন হয় তবে উয়িজুকা (اُعِيْذُكَ), দুই জন হলে উয়িজুকুমা (اُعِيْذُكُما), অনেক শিশু হলে উয়িজুকুম (اُعِيْذُكُمْ)
পাশাপাশি নবজাতক শিশু সন্তানদের জন্য সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, ৪ কুলসহ হাদিসের দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য যে, হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম এই দোয়ার মাধ্যমে তাঁর পুত্র হজরত ইসহাক এবং হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালামকে ঝাড়-ফুঁক করতেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয়নবির শেখানো দোয়ার মাধ্যমে নবজাতক শিশুর কপালে কালো ফোঁটা না দিয়ে এ দোয়ার মাধ্যমে বদনজর ও ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকার জন্য দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম