ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে? বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় এটি। শুধু বাংলাদেশ কেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স যেন- আলোচিত ইস্যু এখন সব জায়গায়। এই যেমন ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার কারণে ৬ মাসের জেল-জরিমানার মুখোমুখি বার্সেলোনার বিখ্যাত ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে।
Advertisement
শুক্রবার দুপুরের পর গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হন পিকে। ভাগ্য খারাপ হলে আর যা হয়, আরকি! পিকে পড়ে গেছেন ট্রাফিক পুলিশের রুটিন চেকের সামনে। পুলিশ গাড়ি থামিয়ে কাগজ-পত্র দেখাতে বলেন। সেখানেই দেখা গেলো, লাইসেন্সই নেই পিকের। আর যায় কোথায়! মামলা ঠুকে দিলেন ট্রাফিক পুলিশ।
স্পেনের আইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স যার থাকবে, তাকে দেয়া হয় ১২ পয়েন্ট। যদি ১২’র নিচে পয়েন্ট নেমে আসে, তাহলে সেটা অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। যদি পয়েন্ট পুরোপুরি শূন্য হয়ে যায়, তাহলে কোনো ড্রাইভারকে রাস্তায়ই নামতে দেয় না পুলিশ। যতক্ষণ পর্যন্ত না ট্রাফিক হেডকোয়ার্টারে ২৪ ঘণ্টার একটি পরীক্ষা না দেবে এবং সেখানে পাশ করে না আসবে।
স্পেনের রেডিও স্টেশন ক্যাডেনা সার তাদের এক রিপোর্টে জানিয়েছে, ট্রাফিক অফিসাররা পিকের কাগজপত্র চেক করে দেখেন যে কোনো পয়েন্টই নেই পিকের। স্পেনে এটা মারাত্মক ক্রিমিনাল অপরাধ। দেশটির আইনে বলা আছে, এই অপরাধের জন্য অন্তত ৬ মাসের জেল কিংবা ৫৩৭০ পাউন্ড (প্রায় ৬ লাখ টাকা) জরিমানা দিতে হবে।
Advertisement
রাস্তায় ড্রাইভিং করতে নেমে অপরাধ ঘটানোর ক্ষেত্রে পিকের নাম এসেছে বেশ কয়েকবার। গত বছরও গতিসীমা ভাঙার অপরাধে শাস্তির মুখোমুখি হন পিকে। ২০১৪ সালে এক ট্রাফিক অফিসারের সঙ্গে বিবাধে জড়িয়ে ৯৪০০ পাউন্ড (প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা) জরিমানা দিয়েছিলেন তিনি। এর তিন বছর আগেও আরও একটি অপরাধে শাস্তি পেয়েছিলেন পিকে।
আইএইচএস/এমএস