শুক্রবার নেপালের কাঠমান্ডুতে শেষ হলো বিমসটেক সম্মেলন। ১৮ দফা ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে এই সম্মেলন। দু’দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভুটান ও নেপাল।
Advertisement
বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে এবার সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা, আঞ্চলিক যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজের উন্নয়নের বিষয়ে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর নেতৃবৃন্দের অলোচনার মূল বিষবস্তু ছিল।
তবে এসব বিষয় ছাড়াও বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যুটি গলার কাটা হয়ে থাকলেও বিমসটেক সম্মেলনে এ বিষয়ে কোন আলোচনাই হয়নি। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্দশা লাঘবের বিষয়ে কোন কিছুই ছিল না বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ঘোষণায়। তবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় জোরদার লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নেতারা।
কাঠমুন্ডু সম্মেলনের ঘোষণায় নেতারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদে উৎসাহ, সমর্থন ও অর্থায়নের জন্য জোটভুক্ত দেশগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার বিষয়ে একমত হয়েছেন।
Advertisement
বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভুটান ও নেপালের নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে তাদের তিন বাহিনীর সম্মিলিত সামরিক অনুশীলন এবং একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়েও মতবিনিময় করেন।
বিমসটেকভুক্ত দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে ওই সম্মেলনে। যে কেনো ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের কাউকে ছাড় না দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করা হয়।
সম্মেলনে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ এবং সংগঠিত অপরাধ বিমসটেকভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিশাল হুমকি। তাই সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করাটাই বিমসটেকের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত।
বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তারা বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে একত্রে কাজ অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন।
Advertisement
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, তারা (শেখ হাসিনা ও মোদি) বলেছেন, ‘আমরা আমাদের দুই দেশের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে একত্রে কাজ অব্যাহত রাখতে চাই।’
শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি এবং ভুটানের প্রধান উপদেষ্টা (অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান) দাশো সেরিং ওয়াংচুকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
টিটিএন/এমএস