লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতার মেয়ের বাল্য বিয়েতে যাননি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল।
Advertisement
শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিনের মেয়ের বিয়েতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মন্ত্রীর।
এদিকে প্রতাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ রাখার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ইউপি চেয়ারম্যান নির্দেশ দিলেও তা মানা হয়নি। দুপুরে বিয়ের পূর্ব নির্ধারিত কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে জাগোনিউজে ‘আ.লীগ নেতার মেয়ের বাল্য বিয়ে, অতিথি মন্ত্রী’ শীরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
Advertisement
জানা গেছে, উপজেলার শেখপুর গ্রামের নুুরুল আমিনের মেয়ের সঙ্গে চরশাহী গ্রামের তরক আলী ব্যাপারী বাড়ির মো. মন্তাজ মিয়ার ছেলে টাইলস মিস্ত্রি কাউছারের বিয়ে হয়। ওই বিয়েতে শুক্রবার দুপুরে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিজন বিহারী ঘোষ, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উল্যা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাবির আহমেদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব নির্ধারিত সফরসূচিতে থাকলেও আওয়ামী লীগে নেতার মেয়ের বিয়ে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী যাননি। শাহজাহান কামালের ঘনিষ্ট একাধিক ব্যক্তি দাবি করেছেন, মেয়ের বিয়েতে আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আমিন আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মন্ত্রীকে। কিন্তু তিনি (মন্ত্রী) বাল্য বিয়ের বিষয়টি জানতেন না। বিষয়টি জানার পর তিনি আরও সেখানে যাননি। শাহজাহান কামাল লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য।
এ ব্যাপারে সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শাজাহান আলী মোবাইল ফোনে বলেন, বাল্য বিয়ের দিন-তারিখ শুনে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছিলাম। মেয়ের বয়স ১৮ এর চেয়ে ২-৩ মাস কম। বিষয়টি তদন্ত চলছে। তবে একটি পক্ষ অসৎ উদ্দেশ্যে মেয়ের বয়স সামনে আনছে বলে সার্বিকভাবে মনে হচ্ছে।
কাজল কায়েস/এমএএস/পিআর
Advertisement