পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে রীতি অনুযায়ী নতুন সাংসদদের ছবি তোলার প্রথা রয়েছে। আর সেই প্রথা মানতে গিয়ে ফটোস্যুটে অংশ নিয়েছিলেন নতুন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে তার সেই ছবি তোলা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক কম হচ্ছে না। বিশেষ করে তিনি ওই ফটোশ্যুটে কত টাকা খরচ করেছেন তা নিয়েই বার বার জল ঘোলা হচ্ছে।
Advertisement
সম্প্রতি একটি গুঞ্জন ছড়িয়েছে যে, ইমরান খানের ওই ফটোশ্যুটে নাকি প্রায় ৩৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আর এই খবর ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ায় বেশ মাতামাতিও হচ্ছে। সেই খবরের সূত্র ধরেই ইমরান খানের ফটোশ্যুট করা স্টুডিওতে ঢু মেরেছে পাকিস্তান ট্যুডে। আসলেই ইমরানের ওই ফটোশ্যুটে কত খরচ হয়েছে সেটা জানার চেষ্টা করা হয়েছে।
বুধবার রাতে সামাজিক মাধ্যমের এক পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ইরফানের ফটোশ্যুট প্রতিষ্ঠান ফাইন আর্ট ওয়েডিংস ইমরান খানের ওই ফটোশ্যুট করেছে। এজন্য নাকি তারা প্রায় ৩৫ লাখ টাকা নিয়েছে।
এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, এটা টাকা নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই না। এসব সমালোচনা ফটোশ্যুটার ইরফান আহসনের নজরেও পড়েছে। সে কারণেই তিনি এ বিষয়টি পরিস্কার করেন। তিনি জানান, ওই ফটোশ্যুটটি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জন্য একটি উপহার।
Advertisement
নিজের ইন্সটাগ্রামে একটি পোস্টে ইরফান আহসন বলেন, হাহা এটা সত্যিই হাস্যকর। তার (প্রধানমন্ত্রী ইমরান) নতুন পাকিস্তান গড়ার স্বপ্নে এটা ছিল আমার ক্ষুদ্র একটি উপহার। ইনশাআল্লাহ তিনি সফল হবেন। আর আমার আইচিসন কলেজের সিনিয়র হিসেবে তিনি অবশ্যই বিশেষ ছাড় পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন। তবে হেটাররা তো ঘৃণা করবেই।
কিন্তু ইরফান এটা পরিস্কার করেননি যে, তিনি আসলে কি উপহার দিয়েছেন। ওই ফটোশ্যুটের শুরুতে বিপত্তি বেধেছিল। কারণ জহর কোট বা জ্যাকেট না হলে ফটোশ্যুটতো চলেই না। আর ইমরান সেদিন কুর্তা আর পাজামা পরেই উপস্থিত হয়েছিলেন। তার এমন পোশাক মোটেও পছন্দ হয়নি ফটোগ্রাফারের। স্মার্ট ইমরান তাই এগিয়ে এসে ফটোগ্রাফের পরা ওয়েস্ট কোটটাই ধার চেয়ে বসেন। আর প্রধানমন্ত্রীর এমন আবদার শুনে প্রথমে অবাক হয়ে যান ফটোগ্রাফার।
পরে অবশ্য কোটটি ইমরানকে শুধু দিয়েই ক্ষান্ত হননি, পরাতেও সাহায্য করেছেন তিনি। আর এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তা রীতিমতো ভাইরাল। ফটোগ্রাফারকি শুধু এই কোটের কথাই বোঝাতে চেয়েছেন নাকি এই ফটোশ্যুটে ইমরানের জন্য বিশেষ ছাড় ছিল যা কাউকে জানানো হয়নি সেটাও পরিস্কার নয়। তাছাড়া ওই ফটোগ্রাফার এবং তার স্টুডিও এখন পর্যন্ত কোন ফটোশ্যুটে ৩৫ লাখ টাকা চার্জ করেননি বলেও জানানো হয়েছে।
পাকিস্তান ট্যুডেকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ওই স্টুডিওর তরফ থেকে সব ধরনের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত কারো কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা বিল নেইনি। আর এটা যদি প্রধানমন্ত্রীর জন্য উপহার না হতো তবে আমরা টাকার কথা চিন্তা করতাম।
Advertisement
এছাড়া এ ধরনের গুঞ্জনকে ব্যঙ্গ করে ইফরান বলেন, ওয়াও, এটা সত্যিই অস্থির একটা খবর। ফটোশ্যুটের খরচ দশগুন বেড়ে গেছে। লোল! সকালের মধ্যেই তো এটা ৩৫ বিলিয়ন হয়ে যাবে। তখনতো আমি একজন বিলিয়নিয়ার হয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।
টিটিএন/পিআর