দেশজুড়ে

এক মাসের মধ্যে সিলেটে আ.লীগের কার্যালয় করার নির্দেশ কাদেরের

সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও কেন্দ্রীয় নেতারা।

Advertisement

সিলেট সার্কিট হাউসের কনফারেন্স কক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে ঘণ্টাব্যাপী চলা এ বৈঠকে বিগত সিটি নির্বাচন এবং দলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।

সভার এক পর্যায়ে উঠে আসে সিলেটে আওয়ামী লীগের কার্যালয় না থাকার কথা। এটা শুনে ক্ষুব্ধ হন ওবায়দুল কাদের।

তিনি সিলেটের নেতাদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে সিলেটে আওয়ামী লীগের অফিস করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় যা লাগবে সেগুলো কেন্দ্র থেকে দেয়া হবে।

Advertisement

এ সময় স্থায়ী কার্যালয় নির্মাণে ভূমি বরাদ্দের বিষয়টি দেখার জন্য সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতিকে নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।

ওই বৈঠকে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রুদ্ধদ্ধার ওই বৈঠকে মূলত কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে ওবায়দুল কাদেরই বক্তব্য রাখেন। তিনি দলকে ঐক্যবদ্ধ করার ব্যাপারে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। ফাঁকে ফাঁকে সিলেটের নেতারা তাদের বিভিন্ন অভাব অভিযোগের কথা জানান।

এ সময় কয়েকজন নেতা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তিনি সিলেটের সিনিয়র নেতা কিন্তু তার কাছ থেকে দল কোনো সহযোগিতা পায় না। গত সিটি নির্বাচনেও তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

Advertisement

নির্বাচনের দিন ভোট দিতে এসে ‘কামরান ভালো, আরিফও ভালো’ অর্থমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনেও তার সমালোচনা করেন কেউ কেউ।

এছাড়া একাধিক নেতা অভিযোগ করেন, দলের সিলেটের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কোন্দল রয়েছে। তাদের কোন্দোলের কারণেই সিটি নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায়নি। অনেকে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন কেউ কেউ।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের কথা শুনে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিগত দিনে সারাদেশের সিটিগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মেয়র হয়েছেন। ভিন্ন শুধু সিলেট। এক সময় সিলেট আওয়ামী লীগের দূর্গ হিসেবে বিবেচিত হলেও বর্তমানে সিলেটে আওয়ামী লীগের অবস্থান তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। আগে আমরা সিলেটে আওয়ামী লীগের অবস্থান নিয়ে গর্ব করতাম, কিন্তু এখন তা আর নেই।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, এই সিটি নির্বাচনে কে কি করেছেন, সকল তথ্যই আমাদের কাছে আছে। আরো তথ্য আমরা সংগ্রহ করছি। জাতীয় নির্বাচনের আগে এগুলো কাটিয়ে উঠুন নইলে আরো বিপদে পড়বেন।

এ সময় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগকে আরো চাঙ্গা করার জন্য নেতাদের নির্দেশ দেন তিনি।

সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, এনামুল হক শামিম ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

ছামির মাহমুদ/এফএ/এমএস