জাতীয় ক্রিকেট দলের সর্বশেষ আলোচিত ইস্যু মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীর করা নারী নির্যাতনের মামলা। এশিয়া কাপ প্রস্তুতির আগেরদিন এই খবর প্রকাশ হতেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। তার আগে থেকেই বিসিবিতে আলোচিত ইস্যু ছিল সাব্বির রহমানের শৃঙ্খলাভঙ্গের বিষয়টি। আরও একটি ইস্যু ঘুরপাক খাচ্ছিল, সেটা হচ্ছে নাসির হোসেনের নারী কেলেঙ্কারি।
Advertisement
সব কিছু মিলিয়ে বিসিবি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেলেঙ্কারিতে যুক্ত ক্রিকেটারদের ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে ডেকে তাদের বক্তব্য নেয়া হবে এবং এরপর প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে। ক্রিকেটারদের এসব অনৈতিক কাজ বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনে কঠোর শাস্তিও দিতে প্রস্তুত বিসিবি।
তবে, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন একটা বিষয় খুব জোর দিয়ে বলেছেন। তার বক্তব্য, মানুষের ব্যক্তিগত জীবন তো আর বিসিবি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। বিয়ে, তালাক- এসব বিষয়গুলো তো ব্যক্তিগত। এখানে তো বিসিবির কিছু করার নাই। তবুও, বিসিবি সতর্ক রয়েছে। তারা সব বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবে। যদি কারও কোনো দোষ খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে বিসিবিও কঠোর শাস্তির পথে হাঁটবে।
তবে মোসাদ্দেকের বিষয়টি যেহেতু আদালতে গড়িয়েছে, তখন সেটার সমাপ্তি কি হয় সে দিকেও দেখতে হচ্ছে বিসিবিকে। এসব নিয়েই কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি। আজ (বৃহস্পতিবার) বিসিবিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিসিবি বিগ বসের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, ক্রিকেটারদের এসব (বিতর্কিত) আচরণে আপনি কতটা বিব্রত?
Advertisement
জবাবে পাপন বলেন, ‘এখানে নাম্বার অফ ইস্যুজ। হচ্ছে কি, প্রাইভেট অনেক সমস্যা আছে। সেটা থাকতে পারে। সব কিছুর মধ্যে বিসিবিকে জড়ালে হবে না। সব বিসিবির পক্ষে সামাল দেয়াও সম্ভব নয়। উদাহরণ- ডিভোর্স হয় না বাংলাদেশে? কেউ যদি কাউরে ডিভোর্স করতে চায় এটা নিয়ে আমরা কি করব? কেউ যদি একাধিক বিয়ে করে সেটাও আমাদের কিছু করার নেই। এখন তো আমরা বলতে পারি না, ক্রিকেট যারা খেলে তারা একাধিক বিয়ে করতে পারবে না।’
তবে পাপন মনে করেন, ক্রিকেটাররা হচ্ছে এ দেশের তরুণদের আইডল। তাদেরকে অবশ্যই ভালো মানুষ হতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি ক্রিকেট প্লেয়াররা ডেফিনেটলি আইডল। তাদের অনেকে অনুসরণ করে। অবশ্যই তাদের ভাল মানুষ হতে হবে। এটার জন্য যা যা করা দরকার করতে হবে।’
তবুও অপরাধ করলে তাদের শাস্তি দিতে হবে। বিসিবি সভাপতিও সেটা মনে করেন। তিনি জানান, বিসিবিও অপরাধীদের ছাড় দেবে না। তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ আছে যাদের আমরা শাস্তি দিচ্ছি। যদি দেখি তা দিয়েও কোন ইম্পেক্ট হচ্ছে না, তখন তো আমাদের কড়া শাস্তি দিতেই হবে। যদি আমরা মনে করি একটা জিনিস করা উচিৎ না কোন খেলোয়াড়ের, সে যদি বারবার তা করতে থাকে। তখন কড়া সিদ্ধান্ত নিতেই হয়, নিবো। আবার কিছু জিনিস আছে না জেনেও নিতে পারি না (সিদ্ধান্ত)। একটা হচ্ছে অভিযোগ করতেই পারে একজন। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই যদি বিচার করে বসি। তারপর আদালতে দেখা গেল এটা ঠিক না, তাহলে তো অন্যায় হয়ে গেল। কাজেই নিশ্চিত হতে হবে। প্রমাণ হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমার কাছে একটাই ন্যাশনাল টিমে নাই। সে জাতীয় দলে খেলতে পারবে না। এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যদি কেউ খেলতে না পারে, এরচেয়ে বেশি আর কি করতে পারব, বলেন।’
আইএইচএস/পিআর
Advertisement