সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। তবে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
Advertisement
এ দিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৫টির। আর ৫১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় দুই পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৬০০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৯৬০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক দশমিক ৪৭ পয়েন্ট কমে এক হাজার ২৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
Advertisement
মূল্য সূচক ও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমারও পরও ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭২২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৬৩৩ কোটি ৩৮ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৮৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে কেপিসিএলের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সায়হাম টেক্সটাইলের ২১ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২১ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল হাউজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- আইপিডিসি ফাইন্যান্স, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, অ্যাকটিভ ফাইন, বিবিএস কেবলস, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, রিজেন্ট টেক্সটাইল এবং আরডি ফুড।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ৪৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ৬৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৫২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০১টির দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ১১৯টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির দাম।
Advertisement
এমএএস/এএইচ/জেআইএম