লাখো জনতার ঢল নেমেছিল। সাদা কাফনের কাপড় পড়ে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ছুটে যান মিনা অভিমুখে। জামারায় তিন শয়তানকে (সুগরা, উসতা ও আকাবায়) ঘৃণাভরে পাথর নিক্ষেপ করেন তারা। কালো পাথরের তৈরি স্তম্ভতে নির্মিত করা হয়েছে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় জামারা।
Advertisement
লাখো হাজির প্রত্যেকের হাতে তখন জামারায় ছুঁড়ে মারার জন্য ৭টি করে মোট ২১টি পাথর। জামারার সামনে এসে হাজিরা আল্লাহ আকবর বলতে বলতে ঘূর্ণিঝড়ের গতিতে পাথর নিক্ষেপ করতে থাকেন। হুড়োহুড়ি ও ধাক্কাধাক্কিতে অনেকে আহত হন, এমনকি জ্ঞানও হারান অনেকে।
শয়তানের প্রতি হাজিদের এটি ঘৃণার বহিঃপ্রকাশের দৃশ্য। কেউ কেউ রাগ সামলাতে না পেরে পায়ের জুতাও খুলে ছুঁড়ে মারেন। হজের মূল আনুষ্ঠানিতার মোট পাঁচদিনের তিনদিনই (১০, ১১ ও ১২ জিলহজ) মিনা, আরাফা ও মুহদালিফায় অবস্থান করে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করতে হয়। ৯ জিলহজ সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে আরাফাতে অবস্থান এবং সূর্যাস্তের পরে মুজদালিফায় যেতে হয়। মুজদালিফায় রাতযাপন ও তিনদিনের জন্য মোট ৭০টি পাথর সংগ্রহ করতে হয়। প্রথমদিন ৭টি ও দ্বিতীয়দিন ছোট, মাঝারি ও বড় শয়তানকে ৭টি করে মোট ২১টি পাথর মারতে হয়।
এরপর মিনায় গিয়ে জামারায় শুধুমাত্র বড় শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হয়। ১০ ও ১১ জিলহজ দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন ৭টি করে মোট ২১টি কঙ্কর মারতে হয়। তবে অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে কেউ পাথর মারতে না পারলে পরের দিন পাথর নিক্ষেপ করতে পারবে।
Advertisement
এমইউ/আরএস/পিআর