দেশজুড়ে

প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে ৩৮টি বিদ্যালয়ের কার্যক্রম

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ৩৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে সকল কার্যক্রম। এতে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাঘাটা উপজেলায় ১৭০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ৩৯ হাজার ৭শ ৭৫ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৮টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেই। এ বিদ্যালয়গুলোতে বর্তমানে ৪ হাজার ৮শ শিক্ষার্থী শিক্ষারত রয়েছে।কিন্তু এসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি সার্বিক কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। এতে ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের লেখাপড়া নিয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন।হলদিয়ার অভিভাবক আবু তাহের জাগো নিউজকে বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষক উপস্থিতি, পাঠদান, প্রশাসনিক নজরদারি ব্যহত হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।  ওই বিদ্যালয়গুলো হলো, চর হলদিয়া, পবনতাইড়, চিনির পটল, গুয়াবাড়ি, কানাইপাড়া, হলদিয়া, গাড়ামারা সিপি, নশিয়ারপাড়া, চরদীঘলকান্দি, থৈকরেরপাড়া, ভরতখালী বন্দর, পদুমশহর, চকদাতেয়া, পশ্চিম বাটি, কচুয়া, দুর্গাপুর, শতিতলা, ২নং রাঘবপুর, বাঙ্গাবাড়ি, মেচট, পদুশহর মণ্ডলেরপাড়া, শীলপাড়া, মহিষলাঠি, পোড়াগ্রাম, পূর্বপাটি, পশ্চিম বাটি, পাকুরতলা, গজারিয়া, পশ্চিম সাহবাজেরপাড়া, দক্ষিণ শ্যামপুর, গোরেরপাড়া, পূর্ববাঁশহাটা, চান্দপাড়া, কাঠুর, চর নলছিয়া, বেড়া, পাতিলবাড়ি ও পশ্চিম পবনতাইড় কাজী জাফর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।  এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি সম্পূর্ণ সরকারি সিদ্ধান্তের ব্যাপার। উপজেলা পর্যায়ে এটার সমাধান সম্ভব নয়। তবে অব্যাহত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শূন্য পদগুলো পূরণ হলে এ সমস্যা আর থাকবে না। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আমিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, দীর্ঘদিন থেকে পদন্নোতি প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় সাময়িক এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।অমিতাভ দাশ হিমুন/এমজেড/পিআর

Advertisement