মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বির্তকিত বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইলের মানহানির মামলায় হাইকোর্টের দেয়া ৬ মাসের জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আবেদনের ওপর (নো অর্ডার) আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত।
Advertisement
এ আদেশে নড়াইলের মামলায় খালেদার জামিন বহাল থাকছে। খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
একই সঙ্গে আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন আদালত। আগামী ১ অক্টোবর শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বারজজ আদালত আজ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির ও ডেপুর্টি অ্যার্টনি জেনারেল এমএ কামরুল ইসলাম খান আসলাম।
Advertisement
অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এজে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরোদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল ও একেএম এহসানুর রহমান প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে নড়াইলে দায়ের করা মানহানির মামলায় হাইকোর্টের দেয়া ৬ মাসের জামিন স্থগিত চেয়ে গত ১৯ আগস্ট আপিল আবেদন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমএ কামরুল ইসলাম খান আসলাম।
এর আগে নড়াইলের মামলায় ১৩ আগস্ট (সোমবার) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ছয়মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তক আছে বলে মন্তব্য করেন। এছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি। তার ওই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হয়। ওই বক্তব্যর পরিপ্রেক্ষিতে নড়াইলের কালিয়ার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম বাদি হয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইল সদর আমলি আদালতে তিনি এ মামলা দায়ের করেন।
Advertisement
এফএইচ/আরএস/আরআইপি