আগামী মাসে ইংল্যান্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে ১০০ বলের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। নতুন ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্টের নিয়মকানুন নির্ধারণ হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই, খেলা হয়েছে পরীক্ষামূলক ম্যাচও। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে ৮ দল নিয়ে এই টুর্নামেন্টের খসড়া পরিকল্পনা করেছে ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড।
Advertisement
কিন্তু বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য এমন কোন ফরম্যাট মোটেও কার্যকর হবে না। বরং ক্রিকেটের বাণিজ্যিকীকরণের লক্ষ্যে এমন ছোট সংস্করণের ক্রিকেটটা দিনশেষে ক্রিকেটের জন্যই নেতিবাচক হবে বলে মনে করেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান অধিনায়ক।
ইংলিশদের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে বর্তমানে ইংল্যান্ডেই অবস্থান করছেন কোহলি। সেখানে বসেই ‘উইজডেন ক্রিকেট মান্থলি’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে কোহলি বলেন, ‘অবশ্যই যারা এই ১০০ বলের ক্রিকেটের সাথে জড়িত তারা এই ফরম্যাটের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তবে সত্যি করে বললে আমি আরও একটা ফরম্যাটের কথা ভাবতে পারছি না এখন।’
‘আমি বলবো না যে আমি হতাশ। তবে আপনাকে যখন নিয়মিত এত বেশি ক্রিকেট খেলতে হবে তখন আপনি এর বিপরীতে অনেক বেশি দাবী করবেন। আমার মনে হচ্ছে কোথাও ভুল হচ্ছে। ক্রিকেটের মধ্যে বাণিজ্য ঢুকে ক্রিকেটের আসল সৌন্দর্য্যটা নষ্ট করে দিচ্ছে। এটা আমাকে খুবই কষ্ট দিচ্ছে।’
Advertisement
নতুন ফরম্যাট মানেই নতুনভাবে নিজেদের পরিকল্পনা সাজানো, নতুনভাবে বিশেষ স্কিলের প্রদর্শনী। এছাড়া ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাটে ভিন্ন ভিন্ন দক্ষতার ক্রিকেটার নেয়ার ব্যাপারটা থেকেই যায়। ১০০ বলের ক্রিকেটের জন্য কোন ক্রিকেটারকে নতুন করে গড়ার পক্ষে নন কোহলি।
তিনি বলেন, ‘সত্যি বললে আমি চাই না যে নতুন ফরম্যাটের নতুনভাবে কোন ক্রিকেটারকে পরখ করা হোক। আমি বিশ্ব একাদশের অংশ হতে চাই না যে কিনা এই ১০০ বলের ক্রিকেটের উদ্বোধনে অংশ নেবে। আমি আইপিএল খেলতে ভালোবাসি, বিগ ব্যাশ দেখতে ভালোবাসি। কারণ এখানে আপনি নির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছেন। কোয়ালিটি ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাচ্ছেন। একজন ক্রিকেটার হিসেবে এগুলোই আপনার চাওয়া থাকে। নতুন নতুন ফরম্যাট বানিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা নয়।’
এসময় টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বলতে গিয়ে কোহলি বলেন, ‘আমি মনে করি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপটা টেস্ট ক্রিকেটের গতি বাড়িয়ে দিবে। এই চ্যাম্পিয়নশিপের ফলে প্রায় প্রতিটা সিরিজই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে এবং পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই প্রত্যেকের ওঠা নামা থাকবে। আমি মূলত এই জিনিসটাই চাই।’
এসএএস/আরআইপি
Advertisement