বড়পুকুরিয়ার ১ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খোলাবাজারে বিক্রি করে প্রায় ২৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে আট আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Advertisement
মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টা থেকে তদন্ত কমিটির প্রধান ও সংস্থাটির উপ-পরিচালক শামছুল আলম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তারা হলেন- বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী, উপ-মহাব্যবস্থাপক এ কে এম খালেদুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপক (মেইনটেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) মোরশেদুজ্জামান, উপ-ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) হাবিবুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপক (মাইন ডেভেলপমেন্ট) জাহেদুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপক (ভেন্টিলেশন ম্যানেজমেন্ট) সত্যেন্দ্র নাথ বর্মণ, ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) সৈয়দ ইমাম হাসান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (মাইন প্ল্যানিং অপারেশন) জোবায়ের আলী।
Advertisement
এছাড়া আগামী ২৯ ও ৩০ আগস্ট আরও ১৭ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত তিন দফায় সাবেক চার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১২ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সংস্থাটি।
১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ টন কয়লা ঘাটতির অভিযোগে বিসিএমসিএলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বাদী হয়ে কোম্পানির সদ্য সাবেক এমডি হাবিব উদ্দিন আহমেদসহ ১৯ জনকে আসামি করে গত ২৪ জুলাই দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানায় একটি মামলা করেন। তফসিলভুক্ত হওয়ায় অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক।
মামলায় ১৯ আসামিসহ পেট্রোবাংলার ২১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য চিঠি দেয় দুদক।
এর আগে এ ঘটনায় বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কাগজে-কলমে বেশি কয়লার মজুত দেখিয়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খতিয়ে দেখতে ২৩ জুলাই তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন।
Advertisement
এফএইচ/এমবিআর/পিআর