খেলাধুলা

ইউএস ওপেনের শুরুতেই ইন্দ্রপতন

যুক্তরাষ্ট্র ওপেন শুরু হতে না হতেই অঘটন। প্রথমই ঘটলো ইন্দ্রপতন। উদ্বোধনী দিনেই বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্ট জমিয়ে দিলেন এস্তোনিয়ার অবাছাই খেলোয়াড় কাইয়া কানেপি। প্রথম রাউন্ডেই তিনি সরাসরি ২-৬, ৪-৬ সেটে হারালেন বিশ্বের এক নম্বর নারী টেনিস তারকা সিমোনা হালেপকে। ইউএস ওপেনের ইতিহাসে এর আগে এভাবে কোনো শীর্ষবাছাইকে প্রথম রাউন্ডে এভাবে ছিটকে যেতে দেখা যায়নি।

Advertisement

পুরুষদের সিঙ্গেলসে চমক স্টান ভাভরিংকার। সুইজারল্যান্ডের তারকা এবার বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামে অবাছাই। গত বছর অস্ত্রোপচার করার কারণে এই টুর্নামেন্টে খেলেননি। তবে এবার প্রথম রাউন্ডে উড়িয়ে দিলেন অষ্টম বাছাই গ্রিগর দিমিত্রভকে। উইম্বলডনেও প্রথম রাউন্ডে তিনি দিমিত্রভকে ছিটকে দিয়েছিলেন। ফলে টানা দুটি গ্র্যান্ড স্ল্যামে বুলগেরিয়ার তারকাকে প্রথম রাউন্ডের বাধা পেরোতে দিলেন না তিনি। পাশাপাশি মেয়েদের সিঙ্গলসে প্রথম দিন জিতেছেন গারবিনে মুগুরুজাও। দ্বাদশ বাছাই স্পেনের তারকা ৬-৩, ৬-০ হারান চিনের শুই ঝ্যাংকে।

বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামে এবার দেখা যাবে তিন টেনিস কিংবদন্তির লড়াই। রজার ফেদেরার, নোভাক জকোভিচ এবং রাফায়েল নাদালের। যে লড়াই শুরু হওয়ার আগে নাদাল বলে দিয়েছেন, ‘আমাদের বিকল্পও পেয়ে যাবে টেনিস বিশ্ব।’

দু’দশক ধরে টেনিস দুনিয়া শাসন করে এসেছেন ফেদেরার, নাদাল। পরের দিকে সেই সাম্রাজ্যে থাবা বসান জকোভিচ; কিন্তু এই তিন তারকাই এখন টেনিস জীবনের সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে। তাহলে কি বড় এক শূন্যতা এরপরে দেখা যাবে টেনিসে? রাফায়েল নাদাল বলেছেন, ‘এখন বেশ কয়েকজন উঠতি টেনিস খেলোয়াড় আছে, যারা অত্যন্ত দক্ষতাসম্পন্ন। আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে এরা আমাদের জায়গা ঠিক নিয়ে নেবে।’

Advertisement

আইএইচএস/পিআর