বিনোদন

আজ সামিনা চৌধুরীর জন্মদিন

আজ জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরীর জন্মদিন। ২৮শে আগস্ট দিনাজপুর নানাবাড়িতে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা বিখ্যাত সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব প্রয়াত মাহমুদুন নবী এবং বোন ফাহমিদা নবী। সাধারণত নিজের জন্মদিনে কোন কাজই রাখেন না সামিনা চৌধুরী। কারণ এই দিনটি পরিবারের সঙ্গেই কাটাতে পছন্দ করেন তিনি।

Advertisement

ঘরুয়া পরিবেশেই পরিবার ও প্রিয় মানুষদের সঙ্গে নিয়েই সোমবার দিবাগত রাতে জন্মদিনের কেক কেটেছেন সামিনা চৌধুরী। বোন ফাহমদা নবী, ভাই পঞ্চমসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন সেখানে।

বোনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফাহমিদা নবী বলেন, ‘আজ সুমার ,সবার প্রিয় সামিনা চৌধুরীর জন্মদিন । জন্মদিনের এই শুভ তিথীতে সুমার জন্য অনেক শুভ কামনা ও দোয়া রইলো। আরো ভালো ভালো গান উপহার যেন দিতে পারে শ্রোতাদের। মানুষের ভালোবাসা সব সময় পেয়ে এসেছি আমরা। এই শ্রেষ্ঠ উপহার যেন আজীবন পায় এবং সুস্থ থাকে এই আল্লাহতাআলার কাছে প্রার্থনা করি।’

দেশের স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী।যার নামের সাথেই সুরের ভুবন জড়িত। এ পর্যন্ত অসংখ্য জনপ্রিয় এবং কালজয়ী গান তিনি উপহার দিয়েছেন। তার নাম শুনলেই শ্রোতাদের মনের ভেতর বেজে ওঠে কিছু অসম্ভব সুন্দর কথা ও সুরের কালজয়ী গান। শিরায় শিরায় তার বাবা, বাংলা গানের প্রবাদ পুরুষ মাহমুদুন্নবীর রক্ত প্রবাহমান।

Advertisement

সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে জন্ম হয়েছিল ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো’ চলচিত্রের গানের মাধ্যমে। ওস্তাদ মোশাদ আলীর হাতে হাতেখড়ি এই শিল্পীর যাত্রা ‘নতুন কুঁড়ি’ দিয়ে। ফাগুনের রূপকথা নাটকে।

বেতারের অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। ওই সময় জুলিয়েট-সিজার নাটক করেছিলেন ১২ অথবা ১৩ বছর বয়সে। রেডিওতে নিয়মিত ‘ছোটদের খবর’ পড়তেন। পুরস্কার ক্যারিয়ারের শুরুতে দু’বার পেয়েছেন ‘বাচসাস’ পুরস্কার।

১৯৮১ সালে আলাউদ্দিন আলীর সুরে ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’ এবং আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের সুরে ‘নয়নের আলো’ সিনেমায় গান গেয়ে পেয়েছেন সম্মাননা পুরস্কার।’রানি কুঠির বাকী ইতিহাস’ ছবির ’আমার মাঝে নেই এখন আমি’ গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান ২০০৬ সালে। সামিনা চৌধুরীর জন্মদিনে জাগো নিউজের এর পক্ষ থেকে রইলো শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

এমএবি/জেআইএম

Advertisement