বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে শক্তিশালীকরণে সহায়তা দিচ্ছে জাপান। এই সংস্থার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার লক্ষ্যে ২১১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা অনুদান দিচ্ছে দেশটি। সোমবার এ সংক্রান্ত এক অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ ছাড়া একটি বিনিময় নোটও স্বাক্ষরিত হয়।
Advertisement
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুদান চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থার (জাইকা) প্রধান প্রতিনিধি হিতোসি হাইরাতা। এ ছাড়া বিনিময় নোটে সই করেন কাজী শফিকুল আযম ও জাপানের রাষ্ট্রদুত হিরোয়িসু ইযুমি।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মশিউর রহমান, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের উপ-মহাপরিচালক কমডোর বশীর উদ্দিন আহমেদ, পরিচালক (পরিকল্পনা ও অর্জন) ক্যাপ্টেন এম মামুনূর রশীদ, পরিচালক প্রকৌশল ক্যাপ্টেন এম নুরুল ইসলাম শরিফ এবং প্রকল্প পরিচালক কমান্ডার এ টি এম রেজাউল হাসান।
ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আযম বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ১০টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মধ্যে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও মেট্রোরেল প্রকল্পে বড় ধরনের সহায়তা দিচ্ছে জাইকা। জাপান আমাদের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। বর্তমানে ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেখিয়েছেন, যা চলতি অর্থবছরে ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি।
Advertisement
তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কিন্তু আমরা সেই জায়গাটিতে জোড় দিচ্ছি। ত্রি-পক্ষীয় বৈঠক অব্যাহত রেখেছি। ফলে গত অর্থবছর রেকর্ডসংখ্যক প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড় সম্ভব হয়েছে।
হিরোয়িসু ইযুমি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে অংশিদার হতে পেরে জাপান গর্বিত। উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা রক্ষায় কোস্টগার্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাছাড়া দুর্যোগকালীন সময়ে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। তাই কোস্টগার্ডকে শক্তিশালী করতে অনুদান দেয়া হচ্ছে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পে আধুনিক সুবিধার ৪টি ২০ মিটার বোট, ২০টি ১০ মিটার বোট, এবং ৪ সেট পোর্টেবল মেরিন ওয়েল পলিউশান কন্ট্রোল যন্ত্রপাতি ৩ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। দ্যা প্রজেক্ট ফর ইমপ্রুভমেন্ট অব রিস্কিউ ক্যাপাসিটিজ ইন দ্যা কোস্টাল অ্যান্ড ইনল্যান্ড ওয়াটারস নামক প্রকল্পের আওতায় এই প্রকল্পে সহায়তা দিচ্ছে জাইকা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জননিরাপত্তা বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের দীর্ঘ সমুদ্র অঞ্চলে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম প্রতিরোধ, সমুদ্রে কর্মরত জনগণ এবং বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেয়া, সমুদ্রে সংগঠিত সব প্রকার ক্ষতিকর কার্যক্রম রোধ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূলীয় ও অভ্যন্তরীণ জলসীমায় ত্রাণ কার্য পরিচালনার মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা সম্ভব হবে।
Advertisement
এমএ/জেইউ/জেডএ/পিআর