জাতীয়

ঘুষ খেয়ে আইনের সুরক্ষা পাওয়া ইম্পসিবল : দুদক চেয়ারম্যান

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ফাঁদ মামলা চলবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কেউ যদি মনে করে থাকে- আমি অবারিত দ্বার... ঘুষের রাজত্বে বাস করি এবং আমি ঘুষ খেয়ে আইনের সুরক্ষা পাব, এগুলো ইম্পসিবল।

Advertisement

সোমবার দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অনুমোদনের বিধান রেখে সরকার আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে। ফৌজদারি মামলায় কোনো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করতে হলে অনুমোদন নেয়ার বিধান রেখে ‘সরকারি চাকরি আইনের’ খসড়ায় গত ২০ আগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীন সংস্থা হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন কারো অনুমতি নিয়ে কাজ করবে না। নতুন ওই আইন নিয়ে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ‘উচ্ছ্বসিত’ হওয়ার কোনো কারণ নেই।

চেয়ারম্যান বলেন, দুদক একটি স্বাধীন সংস্থা, দুদকের আইন আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত দুদককে পরাধীন সংস্থা করা হচ্ছে না ততদিন কিন্তু স্বাধীন থাকবে। দুদক কারো অনুমতি নিয়ে কাজ করবে না, এটা আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই।

Advertisement

এ আইন পাস হলে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদক সংকটে পড়বে কি-না জানতে চাইলে ইকবাল মাহমুদ বলেন, আইনটা যেভাবেই পাস হোক না কেন, যেসব অসৎ এবং দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা রয়েছে তাদের কিন্তু উচ্ছ্বসিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কোনো অসুবিধা হবে না।

সৎ কর্মচারীদের সুরক্ষা দেয়ার আইনের প্রয়োজন আছে, কোনো সন্দেহ নেই। আমরাও চাই সৎ যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে তাদের সুরক্ষার প্রয়োজন। যে আইনই হোক না কেন... জনগণের ইচ্ছা ও কল্যাণেই আইন হয়, জনকল্যাণেই আইন হবে আমি এটা প্রত্যাশা করি।

নতুন আইন পাস হলে দুদকের ক্ষমতা খর্ব হবে কি-না জানতে চাইলে ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক ঠুঁটো জগন্নাথ হবে না এবং গ্রেফতারও থেমে থাকবে না। প্রয়োজনের সময় গ্রেফতার হবে। দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার করা সমস্যা হবে না।

কমিশন যতদিন আছে ততদিন দুর্নীতি করে পার পাওয়া ‘সহজ হবে না’ দাবি করে চেয়ারম্যান বলেন, হয়ত কৌশলে কিছু পরিবর্তন।... যুদ্ধক্ষেত্রের নিয়ম এমনই।

Advertisement

এইচএস/এএসএস/এমআরএম/পিআর