জাতীয়

২ মাসের মধ্যে বাড়ছে বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম!

চলতি বছরের শুরুতে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব আমলে নেয়নি সরকার। তবে এখন দেশের সামগ্রীক অবস্থা স্থিতিশীল থাকায় আগামি দুই মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিদ্যুৎও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।  বিদ্যুৎও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে অনেক অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হয়। এছাড়া গ্যাস অনুসন্ধান উৎপাদনে পরিকল্পনা বাস্তাবায়নে অনেক ব্যয় হয়। তাই মুল্য সমন্বয় দরকার।এদিকে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে অনেকটা একমত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি)। প্রতিষ্ঠানটির সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, ফেব্রুয়ারিতে বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম নিয়ে গণশুনানি শেষ হয়েছে। কিন্তু বিইআরসি কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তবে আগামী দুই মাসের মধ্যে দাম সমন্বয় নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। তিনি  আরো জানান, দীর্ঘ ছয় বছর ধরে গ্যাসের দাম না বাড়ানো একটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। সরকারের ভর্তুকি দেয়ার ক্ষমতা কতটুকু আছে সেটা জানার জন্যই তাদের সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন হয়। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান এ আর খান বলেন, ভোক্তার ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনা করেই বিদ্যুৎ গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়। গ্যাসের দাম বাড়িয়ে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল করা হয়েছে। কিন্তু বাপেক্সকে শক্তিশালী করার কাজ ঠিকমত হচ্ছে না। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, একজন গ্রাহক একটা চুলা ব্যবহার করে মাসে ৪০০ টাকা দিচ্ছে।বিপরীতে যদি তিনি সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করেন তাহলে তাকে ১ হাজার দুইশ টাকা দিতে হবে। ‘সুতরাং এখানে একটা বিশাল তারতম্য রয়ে গেছে। আমরা এই জায়গায় সমন্বয় করতে চাই। এ ক্ষেত্রে আমরা জোর দিচ্ছি আবাসিক খাতের গ্যাসের ক্ষেত্রে।এসকেডি/এএইচ/এমএস

Advertisement