সোমবার থেকে পূর্ণ উদ্যমে অনুশীলন শুরু করার সূচি ঘোষণা করা হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তরফ থেকে। কিন্তু তার আগের দিন অর্থ্যাৎ রোববারেই বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে বয়ে গেল এক ঝড়। যেখানে ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে জাতীয় দলের তরুণ ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের।
Advertisement
রোববার দুপুর গড়িয়ে বিকেল আসতেই ক্রিকেট পাড়ায় জানা গেল এরই মধ্যে বিয়ে করে ফেলেছেন বিসিবির কাগজে-কলমে ২২ বছর বয়সী মোসাদ্দেক। শুধু তাই নয়, সেই বিয়ের দাম্পত্য জীবনে কলহের জের ধরে তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের মামলাও দায়ের করেছেন মোসাদ্দেকের স্ত্রী সামিয়া শারমিন।
মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এখানেই শেষ হচ্ছে না। কারণ সামিয়া শারমিনের দায়েরকৃত অভিযোগপত্রের সাথে সংযুক্ত বিবাহের কাবিননামায় দেখা যায় তাদের বিয়ে হয়েছে ২৮ অক্টোবর ২০১২ সালে। কিন্তু বিসিবির কাছে মোসাদ্দেকের যেসব তথ্যাদি দেয়া রয়েছে তা অনুযায়ী ২০১২ সালের ২৮ অক্টোবর তারিখে মোসাদ্দেকের বয়স মাত্র ১৬ বছর।
তাহলে কি মাত্র ১৬ বছর বয়সে বাল্যবিবাহের অপরাধ করেছিলেন মোসাদ্দেক? আপাতদৃষ্টিতে এই বিয়েকে বাল্যবিবাহই বলা যায়। কারণ ২০১২ সালে মোসাদ্দেক বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এমনকি বিয়ের ঠিক আগে যুব দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া সফরও করেছিলেন তিনি।
Advertisement
পরে দেশে ফিরে এই বিয়ে করতে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিলেন মোসাদ্দেক। সামিয়া শারমিনের বড় ভাই (সম্পর্কে মোসাদ্দেকেরও খালাতো ভাই) অভিযোগপত্র জানান যে বাল্যবিবাহের বৈধতা দিতে তখন নিজের বয়স বাড়িয়ে ২২ বছর লিখে দেন মোসাদ্দেক। কিন্তু কাগজপত্র অনুযায়ী ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ২২ বছর পূর্ণ হয়েছে তার।
শুধু বিয়ের কাগজে বয়স লুকিয়েই নয়, মোসাদ্দেক ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়েছে বিসিবির সাথেও, এমনটাই জানান মোজাম্মেল কবির। এতো অল্প বয়সে জাতীয় দলে কোন বিবাহিত ক্রিকেটার নেয়া হবে না জানিয়ে মোসাদ্দেক নিজের বিয়ের খবরটি গোপন রেখেছিলেন বলে জানান মামলার প্রধান সাক্ষী ও সামিয়া শারমিনের বড় ভাই মোজাম্মেল কবির।
এসএএস/জেআইএম
Advertisement