রাত পোহালেই শুরু হবে এশিয়া কাপের প্রাথমিক অনুশীলন। অনুশীলনে নামার শারীরিক এবং মানসিক প্রস্তুতি ছিল মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের; কিন্তু দুপুর না গড়িয়ে বিকেল নামতেই জানলেন, তার নামে নারী নির্যাতনের মামলা হয়েছে এবং মামলার বাদী স্বয়ং তার স্ত্রী সামিয়া শারমিন।
Advertisement
অনেকটা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই অবস্থা মোসাদ্দেকের। সন্ধ্যায় জাগো নিউজে এ মামলার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। হতবিহ্বল মোসাদ্দেক সৈকত খানিকটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে বসেছিলেন ঢাকায় নিজের বাসায়। রাত ৯টার দিকে জাগো নিউজের ফোন পেতেই মোসাদ্দেক সৈকতের আবেগাপ্লুত বক্তব্য, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টা। পাশাপাশি আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই সাজানো মামলা করা হয়েছে।’
মামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলেই দাবি করলেন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার। জাগো নিউজকে বেশ দৃঢ়তার সঙ্গেই মোসাদ্দেক বলেন, ‘মামলার এক নম্বর স্বাক্ষী মোজাম্মেল কবির যা বলেছেন, তা পুরোপুরি মিথ্যা। কারণ, আমি ৯ দিন আগেই তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিয়েছি। এই ৯ দিন তারা কিছু বলেনি। আমার বিপক্ষে ঘরে বসে মদ্যপান ও অন্যান্য অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগও আনেনি। হঠাৎ কেন মামলা করার প্রয়োজন হলো?’
মোসাদ্দেকের অভিযোগ তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এই মামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সামনে এশিয়া কাপের ক্যাম্প। আমাকে সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন এবং ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্যই এ মামলা করা হয়েছে।’
Advertisement
মোসাদ্দেকের দাবি, তার স্ত্রীর পক্ষে ডিভোর্সের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি এবং বিষয়টা যেন না হয়, সে কারণেই এই সাজানো মামলা করেছে। তিনি যোগ করে বলেন, ‘আমি মার্ডার কিংবা ধর্ষণের মতো কোনো অপরাধ করিনি। আমার সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না, এ কারণেই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি চাচ্ছিলাম মিউচুয়ালি বিষয়টা (ডিভোর্স) শেষ করে ফেলতে। কিন্তু তারা (স্ত্রীর পক্ষ) বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলেছে। বোঝাই যাচ্ছে যে, তারা ডিভোর্সের বিষয়টি কোনোরকমেই মেনে নিতে পারছে না। এ কারণেই তারা কিছু নাটক সাজিয়েছে। যাতে আমি দুর্বল হয়ে পড়ি।’
এআরবি/আইএইচএস/আরআইপি