দ্বিতীয় ক্যাটাগরির নিয়ন্ত্রণ সংস্থার তালিকায় থাকার ৯ বছর পর উত্তরণ ঘটছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক)। সেপ্টেম্বরেই ক্যাটাগরি-২ থেকে ক্যাটাগরি-১-এ উন্নীত হবে বেবিচক। এটা হলে বাংলাদেশি এয়ারলাইনস সংস্থাগুলোর যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনায় আর কোনো বাধা থাকবে না।
Advertisement
বেবিচক সূত্র জানায়, নিরাপত্তার অজুহাতে ২০০৯ সালে বেবিচককে দ্বিতীয় ক্যাটাগরির নিয়ন্ত্রণ সংস্থা হিসেবে চিহ্নিত করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটি (এফএএ)। এভিয়েশন সেক্টরের মোড়ল হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের ওই অথরিটি সে সময় ক্যাটাগরি-১-এ উন্নীত হতে কিছু শর্ত দেয়। এ জন্য ব্রিটিশ সিকিউরিটি কোম্পানি রেড লাইনকে দায়িত্বও দেয়া হয়। তবে এরই মধ্যে এফএএর দেয়া সব শর্তই পূরণ করেছে বেবিচক।
পশ্চিমা দেশগুলোর একাধিক সিকিউরিটি টিম শাহজালাল বিমানবন্দর পরিদর্শন করে। পরে ক্যাটাগরির নিয়ন্ত্রণ সংস্থা হিসেবে যারাই পরিদর্শনে এসেছেন তাদের প্রত্যেকেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সর্বশেষ ইতিহাদ ও লুফথানসা কার্গোর দুটি নিরাপত্তা দল আলাদাভাবে পরিদর্শন করে। পরিদর্শনেও শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের অপারেশনসহ সব দিক ও বিভাগের নিরাপত্তা উন্নয়ন সম্পর্কে ইতিবাচক প্রতিবেদন এসেছে। ফলে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে সেপ্টম্বরের মধ্যে।
এ বিষয়ে বেবিচকের পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশনস) উইং কমান্ডার চৌধুরী এম জিয়াউল কবির জাগো নিউজকে বলেন, ক্যাটাগরি উন্নীতের জন্যে ফার্স্ট অডিটের রেজাল্ট আমাদের অনুকূলে। ফার্স্ট অডিটের পর তারা কিছু কাজ করতে বলেছে, ওই কাজগুলোও শেষ পর্যায়ে। এসব কাজের প্রতিবেদন নিয়ে যেতে আমাদের ডাকবে। এ ডাক ২০ সেপ্টম্বরের মধ্যে আসতে পারে। আশা করা যাচ্ছে ওই ভিজিটেই ক্যাটাগরি পরিবর্তনের সুসংবাদ পাওয়া যাবে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, সার্বিক নিরাপত্তা, প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনা, পেশাদারিত্ব ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার দিক বিবেচনায় আইকা প্রতিটি দেশেরই এভিয়েশন খাতের একটা অবস্থান নির্ণয় করে।
আইকাও'র মান অনুযায়ী, দেশের বর্তমান অবস্থান ৭৭ দশমিক ৪৬-এ উন্নীত হয়েছে। ২০১২ সালে দেশের অবস্থান ছিল ৫০ দশমিক ২। কোনো দেশের সূচক ৬০-এর উপর হলে তা সন্তোষজনক মানের বিবেচনা করা হয়।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে এভিয়েশন কান্ট্রি অবস্থানে ভারতের সূচক ৭১। নেপাল ৬২ আর ভুটান ৫৭। এভিয়েশন কান্ট্রি অবস্থান সূচকে এখন বাংলাদেশের নিচে রয়েছে কাতার (৬৭), রাশিয়া (৭০), মালয়েশিয়া (৭২), ইন্দোনেশিয়া (৬৮) এবং কুয়েতের (৬৯) মতো অগ্রগামী দেশগুলোও। আইকাও’র অন্তর্ভুক্ত ১৯২টি দেশের মধ্যে মাত্র ৩৫টির এভিয়েশন কান্ট্রি অবস্থান সূচক ৭৫-এর বেশি। আর সূচক ৭৭ অতিক্রম করেছে, এমন দেশের সংখ্যা ৩০টির বেশি নয়।
আরএম/এএইচ/জেআইএম
Advertisement