খেলাধুলা

নিজেকে সব সময় প্রস্তুত রাখেন ইমরুল!

সদ্য সমাপ্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের কোনো ফরম্যাটের দলে থাকলেও কোনো ম্যাচেই খেলার সুযোগ পাননি বাঁ-হাতি ওপেনার ইমরুল কায়েস। সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন তিনি ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। শেষ ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলেছেন গত বছরের শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত বিসিএলের এক ম্যাচে নর্থজোনের বিপক্ষে ১০৭ রানের একটি ইনিংসও ছিল তার।

Advertisement

তবুও জাতীয় দলের জায়গা হারাতে হয় বাংলাদেশ টেস্ট দলের পরীক্ষিত এই ওপেনারকে। তার জায়গায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে ইনিংস ওপেন করেন লিটন দাস। টি-টোয়েন্টিতেও তামিমের ওপেনিং সঙ্গী ছিলেন লিটন। ওয়ানডেতে ওপেনার ছিলেন এনামুল হক বিজয়।

ইমরুল কায়েস যথারীতি এশিয়া কাপের দলেও হয়তো থাকবেন। আগামী মাসে আরব আমিরাতের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া কাপ ক্রিকেটের জন্য ৩১ সদস্য বিশিষ্ট প্রাথমিক দল ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে ইমরুল কায়েসও রয়েছেন। আগামীকাল (সোমবার) থেকেই ইমরুল কায়েসদের প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু হবে। শুরুতে হবে কন্ডিশনিং ক্যাম্প। যেখানে কাজ করা হবে ফিটনেস নিয়ে। এরপর হবে আসল প্রস্তুতি।

তবে আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরুর আগেই নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য আজ মিরপুরে এসে হাজির বাংলাদেশ দলের এই ওপেনার। সেখানেই তিনি কথা বলেন মিডিয়ার সঙ্গে। নিজেকে এশিয়া কাপের জন্য কতটা প্রস্তুত করে তুলছেন কিংবা এশিয়া কাপে তার লক্ষ্য কি? এসব বিষয়ই জানতে চাওয়া হয় ইমরুল কায়েসের কাছে।

Advertisement

শুরুতেই ছিল, এশিয়া কাপের জন্য ইমরুল কতটা প্রস্তুত? জবাবে এই ওপেনার জানালেন, সব সময়ই নিজেকে প্রস্তুত রাখেন তিনি। কারণ, যখনই ডাক পড়বে, তখনই যেন নিজেকে উজাড় করে দিতে পারেন, সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

ইমরুল কায়েস বলেন, ‘নিজেকে সবসময় প্রস্তুত করে রাখি। যখনই জাতীয় দলে সুযোগ পাব, তখনই সে সুযোগটাকে কাজে লাগানোর জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখা জরুরি। সবসময় নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করি। আপনারা জানেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গেলেও কোন ম্যাচ খেলার সুযোগ পাইনি। তবে আমি ঈদের ছুটির শুরুর পূর্ব পর্যন্ত অনুশীলন করছি। মাঝে ঢাকার বাইরে গিয়েছিলাম, ট্রিটমেন্টের জন্য। যতদিন আমি এখনে ছিলাম, ততদিন অনুশীলন করেছি।’

তবুও এশিয়া কাপ নিয়ে ইমরুলের কি পরিকল্পনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রতিটা ক্রিকেটারের পরিকল্পনা থাকে, দেশের হয়ে ভালো খেলার। আমিও নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করি। কেউ সফল হয় আবার হয়তো কেউ হয় না। আমি নিজেকে সে ভাবেই প্রস্তুত করছি।’

বাংলাদেশ দলে এখন প্রতিযোগিতা অনেক বেড়ে গেছে। এক পজিশনে অনেকগুলো খেলোয়াড় চলে এসেছে। এ কারণে নির্বাচকদের সুবিধা হয়, কেউ খারাপ করলে তার পরিবর্তে আরেকজনকে দলে নেয়ার। আবার একবার জায়গা হারালে সেটা ফিরে পাওয়ার নিরন্তর লড়াই চলে বাকিদের মধ্যে। বিষয়টাকে দলের জন্যই ভালো হিসেবে দেখছেন ইমরুল কায়েস।

Advertisement

দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা নিয়ে জানতে চাইলে ইমরুল বলেন, ‘যখন কোন দলে সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকে, তখন স্বাভাবিকভাবেই সেই দলের পারফরম্যান্স অনেক ভালো হয়। আপনারা দেখছেন, ওয়ানডে বা শর্ট ভার্সনের ক্রিকেটে আমরা অনেক ভালো খেলছি। এমন প্রতিযোগিতা থাকলে সবাই চেষ্টা করে নিজের জায়গাটা ধরে রাখতে। এটা একদিক থেকে ইতিবাচক ও আরেকদিক থেকে একটু নেতিবাচকও বটে। একটা প্লেয়ার যদি এক-দুই সিরিজে বাজে পারফরম্যান্স করে বাদ পড়ে, তাহলে সেটা তার জন্য কিছুটা হলেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। একটু হতাশ হয়ে ফেলে ফর্মে ফেরা একটু কঠিন।’

আইএইচএস/পিআর