নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে পিয়াস মিয়া নামে এক স্কুলছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুর দেড়টায় রায়পুর ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত পিয়াস ওই গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে ও চল্লিশ কাহনিয়া হাফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
Advertisement
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত পিয়াসের চাচা ফজলুর রহমান জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে কান্দাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ফজলুর রহমানের ছেলে রুবেল মিয়া পিয়াসকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এ সময় কান্দাপাড়া গ্রামে রুবেলের বোনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে কর্ণপুরের পঙ্কজ মজুমদার ফকিরের বাজারে পিয়াসকে অচেতন হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে নিহতের পরিবার লোকমুখে খবর পেয়ে তাকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক জিল্লুর রহমানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
জিল্লুর অজ্ঞান অবস্থায় পিয়াসকে স্যালাইন পুশ করলে কোনো উন্নতি চোখে পড়েনি। পরে তাকে তাৎক্ষণিক নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে নেয়া পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পিয়াসকে মৃত ঘোষণা করেন।
Advertisement
নিহত পিয়াসের চাচা হাতিমসহ পরিবারের দাবি, পিয়াসকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর রুবেল ও তার ভাই নজরুল, জুয়েল আত্মগোপনে রয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের বাড়ি থেকে কনে রুনা আক্তারকে আটক করা হয়েছে।
এ দিকে পিয়াসের মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে বিয়ে বাড়িতে থাকা কনের চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী নিপা আক্তার জানান, পিয়াস জেনারেটরের তারে জড়িয়ে দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।
বারহাট্টা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মেজবাহ্ উদ্দিন আহমেদ জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কামাল হোসাইন/আরএ/জেআইএম
Advertisement