খেলাধুলা

মেসিকে নিয়ে মন্তব্য করে নিষিদ্ধ ফিলিস্তিনি ফুটবল প্রধান

বিশ্বকাপের আগে তৈরি হয়েছিল বিতর্কটি। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ছিল ইসরায়েল। ওই ম্যাচটা নিয়েই তৈরি হয়েছিল তুমুল বিতর্ক। ফিলিস্তিনে যখন পাখির মত গুলি করে মানুষ হত্যা করছিল ইসরাইলিরা, ওই সময় আর্জেন্টিনা যদি দেশটিতে এসে ফুটবল খেলে, তাহলে তা হবে গণহত্যাকে সমর্থন দেয়ারই নামান্তর।

Advertisement

এ কারণে সারা বিশ্বেই আর্জেন্টিনার ইসরায়েলে গিয়ে না খেলার জোর দাবি ওঠে। ফিলিস্তিনে তো রীতিমত বিক্ষোভ চলতে থাকে। একই সঙ্গে লিওনেল মেসিদের প্রতি অনুরোধ-উপরোধ চলতে থাকে, তারা যেন ইসরায়েলে এসে না খেলে। ওই সময় ফিলিস্তিন ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি জিব্রিল রাজৌব মেসিকে নিয়ে করেন বিতর্কিত মন্তব্য।

জিব্রিল রাজৌব ফিলিস্তিনিদের প্রতি অনুরোধ জানান, তারা যেন মেসির ছবি, জার্সি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য মেসির আর্জেন্টিনা ইসরায়েলে যায়নি প্রস্তুতি ম্যাচটি খেলতে। তবে ওই মন্তব্যের অপরাধেই শাস্তি পেতে হলো ফিলিস্তিনি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতিকে। তাকে পুরো এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফা এবং একই সঙ্গে ২০ হাজার সুইস ফ্রাঁ আর্থিক জরিমানাও করেছে ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি।

ফিফার কাছে জিব্রিল রাজৌবের মন্তব্যটি ছিল, ‘ঘৃণা ও সহিংসতা উস্কে দেয়ার নামান্তর।’ এ কারণেই এমন শাস্তি দিলো তারা। নিষেধাজ্ঞার ফলে রাজৌব ফুটবল সংক্রান্ত কোনো কর্মকাণ্ড তো করতেই পারবেন না। সঙ্গে কোনো খেলায় গ্যালারিতে পর্যন্ত উপস্থিত থাকতে পারবেন না।

Advertisement

আর্জেন্টিনা যখন ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচটি বাতিল করে দেয়, তখন রাজৌব সংবাদ মাধ্যমে মন্তব্য করেন, ‘কি হলো...? পুরো বিশ্বই ইসরায়েলের প্রতি লাল কার্ড দেখিয়ে দিলো।’ তার আগেই তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘ইসরায়েল ম্যাচটিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে যাচ্ছে।’

ফিলিস্তিন ফুটবল ফেডারেশন ফিফার এই শাস্তির প্রতি উত্তর দিয়েছে। তারা বলছে, ফিফার এই সিদ্ধান্তে দারুণ অবাক হয়েছে ফিলিস্তিন। দেশটির ফুটবল ফেডারেশন দাবি করছে, এই পুরোপুরি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, হাস্যকর এবং সম্পূর্ণ প্রমাণ বহির্ভূত।’

আইএইচএস/আরআইপি

Advertisement