জাতীয়

ঢাকায় মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দল

বিটুবি পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী নেয়ার বিষয় চূড়ান্ত করতে ঢাকায় এসেছে মালয়েশিয়ার ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। রোববার তারা ঢাকা এসে পৌঁছায়। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ওহাব বিন মোহাম্মদ ইয়াসিনের নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দল ১৭ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করবেন।মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কন্স্যুলার মো. সায়েদুল ইসলাম মুকুলও রয়েছেন এ প্রতিনিধি দলে। তিনি জানান, মঙ্গলবার তারা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।এছাড়া মালয়েশিয়ার এ প্রতিনিধিদলে রয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব পদমর্যাদার আণ্ডার সেক্রেটারি শাহিল ইসলাম, জামিরি বিন মাত জায়িন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি জুলকিফিল ইয়াকুব। মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার শহীদুল ইসলামও তাদের সঙ্গে ঢাকায় এসেছেন।প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব খোন্দকার ইফতেখার হায়দার টেলিফোনে জাগো নিউজকে জানান, বিপুল সংখ্যক কর্মী কোন পদ্ধতিতে যাবে, বাছাই প্রক্রিয়া কেমন হবে, সামগ্রিক বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিনিধি দল আমাদের সঙ্গে আলোচনা করবে।বেসরকারি জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রা সভাপতি আবুল বাশার বলেন, বাংলাদেশ থেকে যারা মালয়েশিয়া যাবেন তাদের সেখানে নিরাপত্তা, ইন্স্যুরেন্সসহ নানা সুবিধা থাকবে। অভ্যন্তরীণ খরচ বাদে কর্মীদের কোনো খরচ হবে না। আমরা (রিক্রুটিং এজেন্সি) মালয়েশিয়ান নিয়োগকর্তার কাছ থেকে কমিশন পাব মাত্র। তবে সরকারের জোরালো মনিটরিং ছাড়া বাজারটিতে আবারো দালালদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।এদিকে সরকারি প্রতিনিধিদল আসার দুই দিন আগেই ঢাকায় এসে মালয়েশিয়ার কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ার একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে রিয়েল টাইম নেটওয়ার্কি নামে মালয়েশিয়ার একটি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ী মো. আবু হানিফ ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রাজা আজহার প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান। এ ছাড়া নির্বাহী চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম হামিদি, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্বাস আলী ও অপারেশন ম্যানেজার রসলি বিন আবগানি ও পরিচালক নুর ফিজারানাও এখন ঢাকায়।প্রসঙ্গত, নানা জটিলতায় প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পর ২০১২ সালে সরকারী পর্যায়ে বা জি টু জি পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে দু`দেশ সম্মত হয়। এ প্রক্রিয়ায় অন্তত ১০ লাখ কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যে সারাদেশ থেকে কর্মী বাছাই করা হলেও মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে মাত্র সাড়ে সাত হাজার কর্মী।বিএ

Advertisement