চলতি বছর মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় বেসরকারি হাজার হাজার হজযাত্রীকে বাস, তাঁবু ও খাবারের জন্য অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। হাজির সংখ্যানুপাতে বাসের সংখ্যা কম হওয়ায় যারা বাসে উঠতে পেরেছেন, তাদেরকে গাদাগাদি-ঠাসাঠাসি দম বন্ধকর অবস্থায় আরাফাত থেকে মুজদালিফায় আসতে হয়। বাস না পেয়ে হাজারও যাত্রী হাঁটতে বাধ্য হন। এছাড়া মিনায় তাঁবুতে জায়গা না পাওয়া ও খাবার না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
Advertisement
জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদশের (হাব) মহাসচিব শাহাদাত হোসেন তছলিম শনিবার (২৫ আগস্ট) এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। মক্কার হজ অফিসে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি যেসব সমস্যা তুলে ধরে তা নিম্নরূপ-
জাগো প্রতিবেদক : চলতি বছর সার্বিক হজ কার্যক্রম সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
শাহাদাত হোসেন তছলিম : হজের কার্যক্রম বাংলাদেশ ও সৌদি আরব দুটি অংশে হয়ে থাকে। বাংলাদেশ অংশে এ বছর শতভাগ সাফল্য এসেছে। ভিসা ও বিমান টিকিট নিয়ে নানা অনিশ্চয়তার কথা বলা হলেও এক লাখ ২৭ হাজারেও বেশি হজযাত্রী হজে এসেছেন। তবে সৌদি আরব অংশের কার্যক্রমে বাংলাদেশ সরকার ও হাবের কিছু করার থাকে না। মাত্র হজ শেষ হলো। সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে এ অংশের সমস্যা ও সমাধান সম্পর্কে মন্তব্য করতে হবে।
Advertisement
জাগো প্রতিবেদক : মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় এজেন্সি ও তাদের গাইডরা পরিবহন, তাঁবু নিশ্চিত ও খাবার সরবরাহে হজযাত্রীদের প্রতি চরম অবহেলার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কী?
শাহাদাত হোসেন তছলিম : হজের সকল কার্যক্রম ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বেশ কয়েকটা ধাপ পেরিয়ে (মক্তব ও মোয়াল্লেম নিয়োগ) মক্কা ও মদিনার বাড়িভাড়া, মিনা ও আরাফায় তাঁবু স্থাপন ও খাবার সরবরাহ সংক্রান্ত বিভিন্ন নিয়মকানুন অনুসরণ করে ফরম পূরণ সাপেক্ষে বারকোড বা ভিসা পেতে হয়। একজন হজযাত্রী সৌদি আরবে পা রাখার পর থেকে তার সবধরনের সেবা নিশ্চিত করার দায়িত্ব এককভাবে সৌদি কর্তৃপক্ষের। এ কারণে চাইলেই বাংলাদেশের মতো স্ব উদ্যোগে কিছু করার থাকে না। মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় বিপুলসংখ্যক হাজির বাস, তাঁবু ও খাবারের সমস্যা সম্পর্কে অভিযোগ হাবের নেতারা জানেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ (শনিবার) মোয়াচ্ছাসা (সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ের অধীন হাজি সেবা সংস্থা) শীর্ষ কর্মকর্তারা হাবের সম্মানে ডিনারের দাওয়াত করেছেন। ওইখানে তারা সমস্যা সম্পর্কে তাদের অবহিত করবেন।
জাগো প্রতিবেদক : শুধুই কি সৌদি কর্তৃপক্ষের দায়, এজেন্সি মোটেই দায়ী নয়?
শাহাদাত হোসেন তছলিম : প্রতিটি পেশাতেই ভালোমন্দ লোকজন থাকে। শুধু এজেন্সিগুলোর কারণেই হাজিরা দুর্ভোগের শিকার হন-এমনটা বলা যাবে না। হাজিদেরকেও আচার-আচরণে আন্তরিক হতে হবে। তাদের একেক জনের প্রত্যাশা একেক রকম। হজ করতে এসে তাদের মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় পদে পদে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়। তবে হাজিদের কষ্টের জন্য হাব দুঃখিত। কিন্তু সৌদি অংশে সরকার বা হাবের কিছুই করার নেই। মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় সেবার দায়িত্ব এককভাবে সৌদি কর্তৃপক্ষের।
Advertisement
এমইউ/এসআর/জেআইএম