জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন সারমিন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বের স্বাধীনতার প্রতীক। সকল জাতির জীবনে এমন নেতার আবির্ভাব হয় না। রোববার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলানায়তনে ১৫ আগস্ট উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সুপ্রিম কোর্ট শাখা এর আয়োজন করে।স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু তার আদর্শে অবিচল ছিলেন। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। আপোষ করেননি। বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে দিয়েছেন আত্নপরিচয়। তিনি অমর, মৃত্যুঞ্জয়ী। তার আদর্শ চিরকাল বেঁচে থাকবে। স্পিকার শিরিন শারমিন বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা দারিদ্র বিমোচন, শিশু মৃত্যুর হার রোধ প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র বদলে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। ৭১-এর ঘাতকরা পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। প্র্রথম রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ১৫ আগস্ট। পরে আমরা ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডও দেখিছি। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীরা একই। তারা আলাদা কেউ না।অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ১৫ আগস্ট যে কত শোকাহত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা উল্লাস করেছিল তারা এখনো এই দেশেই আছে। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।অ্যাডভোকেট মামুন মাহবুবের উপস্থাপনায় সুপ্রিম কোর্ট বার শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এমপির সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এমপি, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলির সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এএফএম মেজবাহ উদ্দিন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলির সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন আহম্মদ মেহিদী, অ্যাডভোকেট জেড. আই. খান পান্না, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শম রেজাউল করিম, ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি নজিবুল্লাহ হিরু, ঢাকা বারের সাবেক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আবু প্রমুখ।এফএইচ/বিএ
Advertisement