‘বছর দশেক আগে প্রথমবার হজে এসেছিলাম। সেদিন আরাফাতের ময়দানে সবাই ছিল ইবাদতে মশগুল। কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, কলেমা, দরুদ পাঠ- একান্তভাবে আল্লাহর কাছে সারাজীবনের কৃতকর্মের জন্য মাফ চেয়ে মোনাজাতে দিন কেটে যেতো। কিন্তু দশ বছর পর এসে দেখলাম হজ ইবাদতের আগের সেই দৃশ্য আর নেই। অনেকেই কিছুক্ষণ পর পর ইবাদত রেখে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন, ভিডিও কল করছেন আবার কেউবা ছবি তুলছেন। অনেকেই ইবাদত ফেলে ঘুমিয়ে সময় পার করছেন। বিষয়টি আমাকে ভীষণভাবে ভাবিয়ে তুলছে। মনে হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি হজ ইবাদতের মনঃসংযোগ নষ্ট করছে।’
Advertisement
গত ৯ জিলহজ (২০ আগস্ট) মক্কার আরাফাতের ময়দানে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের একটি তাঁবুতে বসে হতাশার সুরে এ কথাগুলো বলছিলেন ৭৩ বছর বয়সী দিনাজপুরের একটি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের হজযাত্রীদের পর্যবেক্ষণ করে আমার মনে হয়েছে- হজ করতে আসা অধিকাংশরাই হজ পালনের সঠিক নিয়ম-কানুন জানেন না।’
গত ৯ জিলহজ সরেজমিন আরাফা ঘুরে দেখা গেছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন তাঁবুতে হাজিদের অনেকেই মোবাইল ফোনে অথবা ভিডিও কলে কথা বলছেন। অনেকে আবার বেঘোরে ঘুমাচ্ছেন। জোহরের নামাজের সময় বাংলাদেশের একটি তাঁবুর মুসল্লিদের চারজন ইমামের নেতৃত্বে চারটি জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। তা দেখে একজন প্রবীণ হাজি বলেন, ‘আরাফাতের ময়দানে এ ধরনের বিভেদ হজের মূল স্পিরিটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
Advertisement
এসইউ/এমবিআর/এমএস