আইন-আদালত

জাফরুল্লাহর বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত সোমবার

ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারককে ‘মানসিক অসুস্থ’ বলায় আদালত অবমাননার অভিযোগে ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল তার ব্যাখ্যা জানাবেন সোমবার। আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা এক দিন সময় চাইলে আদালত এই তারিখ ধার্য করেন। রোববার চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। আদালতে সময় আবেদন করে বলা হয় ড. জাফরুল্লাহর সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন তিনি আসলেই আমরা জবাব দাখিল করবো।তবে রোববার ট্রাইব্যুনালে জাফরুল্লাহর দেয়া বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়েছে বলে জানায় ট্রাইব্যুনাল সূত্র। সোমাবার জাফরুল্লাহর পক্ষে এ মামলায় আইনজীবী হিসাবে অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তার ‘জুনিয়র’ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা আদালতকে জানান, জবাব দাখিলের জন্য এক দিন সময় প্রয়োজন। পরে আদালত জাফরুল্লাহর বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ প্রদর্শন করেন। এবং সোমবার আবারো এই মামলার কার্যক্রম চলবে বলে জানান। ব্রিটিশ নাগরিক ডেভিড বার্গম্যানের সাজায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ‘অবমাননাকর’ বিবৃতি দেওয়ায় গত ১০ জুন জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সাজা দেন আদালত। শাস্তি হিসেবে তাকে এক ঘণ্টা আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। সেইসঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে একমাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে জাফরুল্লাহ নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তাকে সতর্ক করে দিয়ে ওই দণ্ড মওকুফ করে দেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, মুক্তিযোদ্ধা আলী আজগর  ও নজরুল ইসলাম এবং গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের সংগঠক কামাল পাশা চৌধুরী ও এফ এম শাহীন গত ৬ জুলাই আদালত অবমাননার এই অভিযোগটি দায়ের করেন। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগটি আমলে নেন। শুনানিতে মনোরঞ্জন ঘোষাল বলেন, তিনজন বিচারক ও বিচারালয় সম্পর্কে তিনি যেসব মন্তব্য করেছেন, তাতে আদালতকে অবমাননা করা হয়। এটি আদালতের সম্মান ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। জাফরুল্লাহ চৌধুরীে বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল সাজা ঘোষণার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আজকের আদালত অবমাননার রায়টা তিনজন বিচারকের মানসিক অসুস্থতার প্রমাণ। যেখানে বিচারপতিরা সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না, সেখানে ন্যায়বিচার হয় না। যখন তারা সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না, তখন যুক্তি থাকে না বলেই তারা আইনের আড়ালে আত্মগোপন করেন। এখানে এই মামলাটার বোঝার বিষয় আছে। আদালত অবমাননার মামলায় তিনটির একটি বিষয় প্রমাণ করতে হয়। স্ক্যান্ডালাইজিং দ্য কোর্ট, কোর্টের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা, অবস্ট্রাকশন অব দ্য অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব দ্য জাস্টিস, বিচারের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা, আদালতের ডিগনিটি ক্ষুণ্ণ করা।’ তিনি বলেন, আমি কোনো জরিমানা দেবো না। তিনি আপিল করার কথা বলেন। আপিলে জাফরুল্লাহ নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় তাকে আদালত ক্ষমা করে দেন। এফএইচ/এসএইচএস/এমআরআই

Advertisement