জাতীয়

ফাঁকা রাস্তায় যাত্রী ডাকছেন মোটরসাইকেল চালকেরা

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা ছেড়েছেন মানুষ। ফলে বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র। রাস্তায় যানজট নেই, নেই মানুষের ব্যস্ত ছুটে চলা। সেই সঙ্গে গণপরিবহনও চলছে হাতেগোনা।

Advertisement

ঈদে বিভিন্ন কারণে রাজধানী থেকে যাওয়া মানুষেরা পর্যাপ্ত গণপরিবহনের অভাবে পড়েছেন বিপদে। আর একে সুযোগ হিসেবে নিয়েছেন মোটরসাইকেল চালকেরা।

রাজধানীর প্রায় প্রতিটা সিগনালে বাসের জন্য যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা যায়। আর অপেক্ষমান যাত্রীদের দেখে মোটরসাইকেল চালকরা ডেকে ডেকে তুলছেন। চুক্তিভিত্তিক ভাড়ায় যাত্রীকে পৌঁছে দিচ্ছেন গন্তব্যে।

বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে বেশ কিছু যাত্রী বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় দুই তিনজন মোটরসাইকেল চালক যাত্রীদের জিজ্ঞেস করেন কোথায় যাবেন? গুলিস্তান যাবো এমন উত্তরে চালক জানালেন ভাড়া লাগবে ১০০ টাকা। এরপর সেই যাত্রীকে নিয়ে চলে গেলেন।

Advertisement

আরেকটু সামনে ফুটওভার ব্রিজের নিচে দাঁড়িয়ে আছেন ক’জন মোটরসাইকেল চালক। তারা পাবলিক বাসের মত যাত্রী ডাকছেন। যাত্রাবাড়ী ২০০, মতিঝিলি ১৫০...।

কথা হয় সেখানে উপস্থিত মোটরসাইকেল চালক খলিলুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, নিজের মোটরসাইকেল, ফাঁকা আছি তাই ট্রিপ মারছি। এদিকে রাজধানীতে গাড়ি কম, তেমন বাসও নেই। যাত্রীরাও গাড়ি পাচ্ছে না ফলে ট্রিপ মারছি আমারও ইনকাম, যাত্রীদেরও সুবিধা হচ্ছে।

মোজ্জাম্মেল হকও অপেক্ষা করছিলেন বাসের জন্য। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর মোটরসাইকেল চালকের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৫০ টাকায় যান মতিঝিলে।

তিনি বলেন, রাজধানী জুড়েই মোটরসাইকেল চালকেরা এভাবে যাত্রী ডেকে উঠাচ্ছেন। সার্ভিসটা ভালোই তারও ইনকাম, যাত্রীদেরও উপকার। তবে ভাড়াটা একটু বেশিই হয়ে যায়।

Advertisement

একইভাবে কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, সাইন্সল্যাব, নীলক্ষেতেও দেখা মেলে এমন মোটরসাইকেল চালকদের।

নীলক্ষেত মোড়ে এমন একজন মোটরসাইকেল চালক জুবায়ের আহমেদ বলেন, অফিসে আসা যাওয়ার সময় আগে রাইড শেয়ারিং বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে মাঝে মাঝে যাত্রী আনা নেয়া করতাম। তবে এখন আর অ্যাপে চালায় না। যে কোনো সিগন্যালে দাঁড়িয়ে যাত্রী ডাকলেই পেয়ে যাই।

এএস/এএইচ/পিআর