আন্তর্জাতিক

ধর্ষণে বাধা দেয়ায় দলিত নারীর শরীরে আগুন

ভারতের বিহারে ধর্ষণে বাধা দেয়ায় এক দলিত নারীর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজ্যের নালন্দা জেলার গিরিয়াক থানার পুরন বিগহ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

Advertisement

ভুক্তভোগী ওই নারীর বরাত দিয়ে স্থানীয় পুলিশ জানায়, পুনিয়া দেবী নামে ওই নারীর স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী রঞ্জিৎ চৌধুরী তার সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন। তখন রঞ্জিৎ ক্ষিপ্ত হয়ে পুনিয়া দেবীর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে তিনি গুরুতরভাবে অগ্নিদগ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে পাটনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

তবে গ্রামবাসীর দাবি, পুনিয়া দেবী তার স্বামী শঙ্কর মানঝির সঙ্গে কলহের জের ধরে রাগের মাথায় নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তার স্বামী বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। ওই সময়েই তার প্রবল চিৎকার শুনে প্রতিবেশী রঞ্জিৎ চৌধুরী একটি মোটা কম্বল নিয়ে ওই বাড়িতে দৌড়ে গিয়ে পুনিয়া দেবীকে বাঁচানোর জন্য তার শরীরে কম্বল চাপা দিয়ে দেন। এর ফলে রঞ্জিতের হাতেও আগুন লাগে।

অবশ্য গ্রামবাসীর এমন বক্তব্যকে আমলে নেয়নি পুলিশ। ওই অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত এসপি বলেন, অভিযুক্ত রঞ্জিৎ চৌধুরী ওই এলাকায় খুবই প্রভাবশালী। তার প্রভাবের কারণেই গ্রামবাসীর এমন বক্তব্য দিয়ে থাকতে পারেন।

Advertisement

এসপি জানান, পুনিয়া দেবীর অভিযোগ অনুয়ায়ী ওই ঘটনায় অভিযুক্ত রঞ্জিৎ চৌধুরী ও তার চার সহযোগী দিনা মানঝি, সুনয়না দেবী, রামদেব মানঝি ও গুড্ডু মানঝির নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি নেয়া হয়েছে। তার অভিযোগের ওপর ভিত্তি করেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এছাড়া প্রধান রঞ্জিৎ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এমবিআর/এমএস