গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের রাজা বিরাট বাজারে ৩ কেজি ওজনের মিষ্টি পাওয়া যায়। প্রতি কেজি মিষ্টি বিক্রি হয় ২০০ টাকা দরে। খেতে অনেক সুস্বাদু এ মিষ্টি অতিথি আপ্যায়নে বেশি বিক্রি হয়। এ ছাড়া একসঙ্গে কয়েকজন মিলেও এই মিষ্টি কিনে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে এ এলাকায়।
Advertisement
মিষ্টি পছন্দ করেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। ছোটদেরতো খাদ্যের তালিকায় প্রথম পছন্দের এক নম্বরেই থাকে মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার। আর সেটা যদি হয় খুবই সুস্বাদু, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। সবাই আকারে ছোট মিষ্টি খেতে দেখলেও ৩ কেজি ওজনের মিষ্টি দেখেননি অনেকেই।
রাজা বিরাট বাজারের মিষ্টি পল্লীতে এই ৩ কেজি ওজনের মিষ্টি তৈরি হয় বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসের মেলাকে কেন্দ্র করে। তখন আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ আসেন এ মেলায়। তখন বিক্রিও হয় অনেক বেশি।
কখনও ৩ কেজি ওজনের মিষ্টি দেখেছেন কিনা জিজ্ঞেস করলে সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার বামনজল এলাকার চাকরিজীবী তাপস কুমার সরকার (৩০) বলেন, এই প্রথম শুনলাম ৩ কেজি ওজনের মিষ্টি কিনতে পাওয়া যায়। আগামী বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে রাজা বিরাট এলাকায় সময় করে যাবো এই ৩ কেজি ওজনের মিষ্টি খেতে।
Advertisement
গত জুন মাসে (জ্যৈষ্ঠ মাসে) সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজা বিরাট বাজারে মিষ্টি পল্লীর দোকানে থরে থরে পাত্রে সাজানো রয়েছে মিষ্টি। একটি পাত্রে ৩টি, আরেকটি পাত্রে ৬টি। ৩ কেজি ওজনের মিষ্টির পাশাপাশি দেড় কেজি ও ছোট মিষ্টিও পাওয়া যায় এখানে।
দোকানদার খলিলুর রহমান (৪৮) জাগো নিউজকে বলেন, বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে আমরা এই মিষ্টি তৈরি করি। তখন মেলা হয়, অনেক মানুষ আসে, আর বিক্রিও হয় অনেক। আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য এখান থেকে মিষ্টি কিনে নিয়ে যায় মানুষ। তবে একসঙ্গে কয়েকজন বসেও এ মিষ্টি খায় অনেকে।
গাইবান্ধা পৌরসভার দক্ষিণ ধানঘড়া এলাকার শাহাদৎ হোসেন (৩২) বলেন, আগে কখনও ৩ কেজি ওজনের মিষ্টি দেখিনি। একবার রাজা বিরাট বাজারে গিয়ে দেখি একেকটি মিষ্টি ৩ কেজি করে। আর তা দেখেই ৩ কেজি ওজনের একটি মিষ্টি কিনেছি। খুবই সুস্বাদু খেতে এ মিষ্টি।
এ ছাড়া এই রাজা বিরাট এলাকায় গেলে দেখতে পাবেন একটি রাজ প্রসাদ। রাজ প্রাসাদটি মাটির নিচে দেবে গেলেও উপরের অংশ দেখা যায়। উপরের অংশটা দেখতে মাটির ঢিবির মতো। এই রাজ প্রাসাদটির ইট দেখা যায় বাইরে থেকে।
Advertisement
রাজা বিরাট এলাকায় যেতে হবে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চৌমাথা এলাকা থেকে। চৌমাথা থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকসায় প্রতিজনের খরচ হবে ২৫ থেকে ৩০ টাকা করে।
এমএএস/এমএস