ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা পাঁচদিনের সরকারি ছুটিতে পর্যটকদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। জমে উঠেছে কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসা।
Advertisement
বুধবার প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দকে আরও দ্বিগুণ করতে ঈদের প্রথম দিনেই প্রায় ২০ হাজার পর্যটকের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে এ সমুদ্র নগর।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পর্যটকের সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে ২ লাখ। চলতি মাসের শেষ দিন পর্যন্ত পর্যটকের কোলাহলে মুখরিত থাকবে সমুদ্র সৈকত।
পর্যটকদের এমন আগমনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে ৪০০ কোটি টাকা ব্যবসা হবে এমনটাই আশা করছেন হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ, ঝিনুক ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা।
Advertisement
এদিকে, দীর্ঘদিন পর সমুদ সৈকত এলাকা, দর্শনীয় পর্যটন স্পট, বার্মিজ মার্কেটসহ পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রাণ ফিরে পেয়েছে। ফিরে পেয়েছে ক্ষণিকের জন্য হারিয়ে যাওয়া নিজস্ব জৌলুস। শুধু সমুদ্র সৈকত নয়, পর্যটকদের কোলাহল গিয়ে পৌঁছেছে হিমছড়ি, ইনানি, দরিয়ানগর, সোনাদিয়া, আদিনাথ মন্দির, বৌদ্ধমন্দির, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কসহ জেলার বিভিন্ন আকর্ষণীয় ও দর্শনীয় পর্যটন স্পটগুলোতে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঈদুল আজহার আগের দিন থেকেই কক্সবাজারে হাজার দশেক পর্যটক অবস্থান করছিল। ঈদের প্রথমদিন সকালেই এদের সঙ্গে যোগ হয়েছে আরও ১০ হাজার পর্যটক। এদের বেশিরভাগই রাতের মধ্যে কক্সবাজার শহর ত্যাগ করবে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই আসতে শুরু করবে নতুন পর্যটক।
কক্সবাজার সৈকত ঝিনুক মার্কেট সমিতির সভাপতি কাশেম আলী বলেন, দীর্ঘদিন পর সমুদ্রের বালিয়াড়িতে পর্যটকদের মুখ দেখে আনন্দ লাগছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে পর্যটক আরও বাড়বে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, প্রতিদিন কক্সবাজারে কমপক্ষে ২ থেকে আড়াই লাখ পর্যটক অবস্থান করবে। পর্যটন সেক্টরে ঈদের পরের এক সপ্তাহে কমপক্ষে ৪০০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে।
Advertisement
এএম/এমএস