পবিত্র নগরী মক্কায় কোরবানির ঈদের দিনে কোনো বিশেষত্ব নেই! গোটা শহর চষে বেড়ালেও বিন্দুমাত্র বোঝার উপায় নেই যে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা।
Advertisement
তবে ঈদের অনুভূতি টের পাওয়া যায় নাপিতের দোকানে আর প্রাইভেট কারে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হলে।
গত ১০ আগস্ট সরকারি হজযাত্রী নুরুল ইসলাম ওমরাহ (তাওয়াফ ও সাফা মারওয়াহসহ সার্বিক কার্যক্রম) সম্পন্ন করে মক্কা টাওয়ারের নীচের মার্কেটে নাপিতের দোকানে যান। এ সময় একাধিক নাপিত খামছা রিয়েল (পাঁচ রিয়েল) বলে ডাকাডাকি করলেও গতকাল আরাফা মুজদালিফা শেষ করে চুল কাটাতে গিয়ে দাম শুনে হতবাক। পাঁচ রিয়েলের চুল কাটার দাম চান ৫০ রিয়েল। ১০ গুণ দাম শুনে অনেক ঘুরে ২০ রিয়েলে মাথা মুণ্ডন করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সর্বনিম্ন ১০ রিয়েল থেকে সর্বোচ্চ ৫০ রিয়েলে মাথা মুণ্ডন করা হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে মক্কাতে এ বাণিজ্য নতুন নয়। মাথা মুণ্ডনের মতো প্রাইভেট কারের ভাড়ার ক্ষেত্রেও একই বাণিজ্য চলে। মক্কায় হেরেম শরিফের সামনে মিনাতে আসতে জনপ্রতি পাঁচ থেকে ১০ রিয়েল হলেও এখন ভাড়া সর্বনিম্ন ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ রিয়েল। হাজিদের মিনায় কঙ্কর নিক্ষেপের জন্য তিনদিন থাকার প্রয়োজন বিধায় কেউ কেউ মক্কায় যান। তাদের কাছ থেকে ঈদের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
Advertisement
গতকাল (২১ আগস্ট) সৌদিতে ঈদের দিন হোটেল কর্মচারীদের ছুটি থাকায় খাবার খেতে অনেক হাজিই বিপাকে পড়েন। কোনো কোনো হোটেলে সরবরাহ কম থাকায় দামও বেশি রাখার আভিযোগ পাওয়া গেছে।
এমইউ/এএইচ/পিআর