ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে জমে উঠেছে গো-খাদ্যের বাজার। খড়, ভুসি, ঘাসসহ বিভিন্ন গো-খাদ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কোরবানির হাটসহ রাজধানীর অলিগলিতে বসিয়েছেন এসব গো-খাদ্যের দোকান।
Advertisement
জানা গেছে, বছরের অন্যান্য সময় বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকলেও কোরবানির আগে মাত্র দুই-এক দিনের পরিশ্রমে অনেক ভালো আয় হওয়ায় তারা গো-খাদ্যের দোকান দিয়েছন।
মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, পাড়া-মহল্লা, বাজার-ঘাট থেকে শুরু করে প্রতিটি পশুর হাটে গভীর রাত পর্যন্ত ভাসমান দোকানে বিক্রি হচ্ছে পশু খাদ্য। খাদ্য তালিকায় রয়েছে কাঁচা ঘাস, গমের ভুসি, খেসার ডালের ভুসি, গুড়া, খড় ও ঘাস। এসব দোকানে ১০ বছরের শিশু থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধ পশু খাদ্য বিক্রি করছেন। পিছিয়ে নেই নারীরাও।
রাজধানীর বড় কোরবানির পশুর হাট গাবতলী। এ বাজারের ভেতরে বাহিরে প্রায় ২০টি গো-খাদ্যের দোকান বসেছে। অন্য সময়ে এরা সকলেই ভিন্ন কাজ করেন।
Advertisement
এ ছাড়া মিরপুরের অলি-গলিতে, স্থায়ী-অস্থায়ী বাজারগুলোতেও বসেছে গো-খাদ্যের দোকান। মিরপুর ৬০ ফুট রাস্তার উপর বসা এক বিক্রেতা জানান, অন্য সময়ে তিনি কাঁচা তরকারি বিক্রি করেন। এখন গরু-ছাগলের খাদ্য বিক্রি করছেন। এখানে ছোট আকারের প্রতি গোছা খড় ২০ টাকা, প্রতি কেজি চালের ভুসি ২৫, গমের ভুসি ১৫-২০ টাকা, খেসারির ভুসি ৪০ টাকা, বুটের ভুসি ৬০ টাকা এবং খৈল ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
তার একটু দূরেই ভ্যানের ওপর কাঁচা ঘাস বিক্রি করছেন সোলায়মান। সারাবছর অন্য কাজ করলেও এ সময় ঘাস বিক্রি করছেন। রাজধানীর নিচু এলাকা থেকে সংগ্রহ করা এ সব ঘাস গোছাভেদে ২০- ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
রাজধানীর কলাবাগান মাঠের সামনে পশুখাদ্য বিক্রি করছিলেন জাহাঙ্গীর নামের এক তরুণ। তিনি জানান, অন্যান্য সময় ফল বিক্রি করলেও প্রতি ঈদে পশুখাদ্য বিক্রি করি।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এমনই একটি দোকানে কথা হয় আমেনা বেগমের সঙ্গে। তিনি জানান, তার দোকানের সব মালামালই আফতাবনগর হাট থেকে আনা হয়েছে। তাই এখানে দাম একটু বেশি।
Advertisement
এখানে প্রতিকেজি গমের ভুসি ৩৫-৪০, ডালের ভুসি ৫০, গুড়া ৩০, খড় প্রতি আটি ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব দোকানে পশু খাদ্যের পাশাপাশি কোরবানির জন্য পাওয়া যাচ্ছে হোগলার চাটাই ও খাটিয়াও। প্রতি পিস চাটাই ১২০-১৫০ এবং খাটিয়া প্রতি পিস ২০০-৩০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
এমএইচএম/এএইচ/এমএস