আজ বাদে কাল ঈদ। ফলে শেষ মুহূর্তে বেচাকেনায় জমে উঠেছে রাজধানীর সবচেয়ে বড় ও স্থায়ী পশুর হাট গাবতলী। ভোর থেকেই ক্রেতারা হাজির হয়েছেন হাটে। দুপুর গড়াতেই ধুম পড়েছে বেচাকেনায়।
Advertisement
ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হাটে মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। পৌনে তিন লাখ টাকাতে গরু বিক্রি হলেও ৪০ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার গরুর চাহিদা বেশি।
মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) দুপুরে গাবতলী পশুর হাট সরেজমিনে দেখা যায়, প্রচুর পরিমাণ গরু, মহিষ ও ছাগল হাটে উঠেছে। হাটের সীমানা পেরিয়ে বিক্রেতারা গরু, ছাগল নিয়ে রাস্তার ওপরেও দাঁড়িয়েছেন। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ ক্রেতা সমাগম অনেক বেশি। দামদরে দ্রুতই হচ্ছে বেচাকেনা।
কুষ্টিয়ার গরু ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বলেন, ‘এবার ২০টি গরু নিয়ে এসেছি। রাখাল সাথে এসেছে চার জন। ২০ গরুর দাম ৪০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত। সর্বোচ্চ ২ লাখ ৮০ হাজার টাকায় গরু বিক্রি করেছি। এখনও ৭টি গরু বিক্রি করা বাকি। তবে ক্রেতা সমাগম দেখে মনে হচ্ছে সব গরুই এবার বিক্রি হবে।’
Advertisement
গাবতলী হাট থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকায় দুটি গরু কিনে ফেরার পথে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘গরুর দাম আজ একটু বেশিই মনে হলো। সাড়ে তিন লাখে দুটি গরু কিনলাম। কোরবানিতো দিতেই হবে। তাই দাম একটু বেশি হলেও কিছু করার নেই।’
তবে গরু ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হাটে ক্রেতাদের মাঝারি ও ছোট গরুতে আগ্রহ বেশি । যে কারণে মাঝারি ও ছোট গরু দ্রুত বিক্রি হচ্ছে। তবে বড় গরুর ক্রেতা আজ বেশি আসছে বলে তারা জানান।
মিরপুর টোলারবাগ এলাকা থেকে আসা আফতাব আহমেদ বলেন, ‘পছন্দের অনেক ছোট গরু হাটে দেখলাম।’ ৪৫ হাজারে একটা গরু কিনতে পেরে সন্তুষ্টির কথা জানান তিনি।
চুয়াডাঙ্গার গরু ব্যবসায়ী হাশেম ব্যাপারি বলেন, ‘আমার নিজের খামারে পোষা ১২টি গরু এসেছি। সবগুলোই বড়। দাম কোনোটার দেড় লাখের নিচে না। গত দুদিনে বিক্রি হয়েছে তিনটা। আর আজই বিক্রি হলো পাঁচটি। আশা করছি, সন্ধ্যার মধ্যে বাকি চার গরু বিক্রি করে ঘরে ফিরতে পারব।
Advertisement
এদিকে গাবতলী পশুর হাটে নিয়োজিত করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব সদস্য। দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিমুজ্জামান জানান, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও নগদ অর্থ লেনেদেনে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। অজ্ঞানপার্টি ও মলমপার্টির কিংবা সন্দেহভাজনদের খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য সচেতনতামূলক মাইকিং, ঘোষণা ও প্রচারণাও চলছে।
জেইউ/এসআর/পিআর