প্রতিবারের মতো এবারও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কোরবানির মাংসের হাট বসেছে! বিভিন্ন বাড়ি থেকে পাওয়া মাংস নিয়ে এসব হাটে বিক্রি করেছে দরিদ্র শ্রেনীর মানুষ। প্রতি কেজি মাংস বিক্রি হয়েছেে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। ঈদের দিন দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত এসব হাটে মাংস নিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে বিক্রেতাদের।কারওয়ান বাজার রেলগেট, মালিবাগ রেলগেট, খিলগাঁও রেলগেট, মগবাজার রেলগেট, কমলাপুর স্টেডিয়াম এলাকা, গোপীবাগ, মহাখালী রেলগেটসহ বিভিন্ন স্পটে বসেছিল কোরবানির মাংস বিক্রির ভাসমান হাট।এসব হাটের অধিকাংশ ক্রেতাই স্বল্প আয়ের মানুষ। তবে একেবারেই হতদরিদ্র ক্রেতা এ হাটে তেমন দেখা যায়নি। তারা সবাই ছিল বিক্রেতাদের দলে।মগবাজার রেলগেটে আনুমানিক আট কেজি মাংস নিয়ে বিক্রি করতে আসেন হবিগঞ্জের সুমন। সে জানায় তিন বাসায় কোরবানির গরু ছাড়ানো কাজ করে পাঁচ-ছয় কেজি মাংস পেয়েছে। তার স্ত্রী বিভিন্ন বাসায় বাসায় ঘুরে পেয়েছে আরও পাঁচ-ছয় কেজি। কেজি দুই নিজেদের জন্য রেখে বাকিটা বিক্রি করতে এসেছে। বিক্রি হলে তাই দিয়ে বাজার করে নিয়ে যাবে।এদিকে এ হাটে অধিকাংশ ক্রেতাই ছিল নিম্ন আয়ের মানুষ। তেজগাঁওয়ের এক গার্মেন্ট কর্মী হাছিব জানান, তার পক্ষে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাংস সংগ্রহ করা সম্ভব না। তাই এখান থেকে কিনতে এসেছেন। প্রতিবারই তিনি এসব হাট থেকে মাংস কেনেন।একই ধরণের কথা বললেন কারওয়ান বাজারে একটি ইলেক্ট্রিক দোকানের কর্মী শহিদ। তিনি জানান, রাজাবাজারে একটি রুম নিয়ে চারজন থাকেন। দুইজন বাড়ি চলে গেছে। তিনি ঈদে বেতন যা পেয়েছেন বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। গাড়ি ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় বাড়ি যেতে পারেননি। তাই এখান থেকে মাংস কিনতে এসেছেন। শহিদ বলেন, যাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাংস আনতে আত্মসম্মানে বাধে তাদের জন্য এই হাটই ভরসা। তিনি দুই কেজি মাংস কিনেছেন মাত্র তিনশ টাকায়।
Advertisement