জাতীয়

ভ্রাম্যমাণ হকারদের ভ্যানে গো-খাদ্য

ভ্রাম্যমাণ হকার। আগে বিক্রি করতেন সবজি, ফলমূল। অনেকে আবার প্লাস্টিক পণ্য। কিন্তু পবিত্র কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এখন এসব ভ্যানে বিক্রি হচ্ছে গো-খাদ্য। এতে রয়েছে ভুসি, খড়, কাঁচা ঘাস। দাম একটু বেশি। তবে যারা কোরবানির পশু কিনেছেন এক-দুদিনের জন্য গরুর এই খাবার তাদের কিনতেই হচ্ছে।

Advertisement

মিরপুর কালশীতে দেখা যায়, বছর জুড়ে কালশীর রাস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্যানে করে সবজি, মাছ কিংবা ফলমূল বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। ঈদকে সামনে রেখে রাজধানী বলতে গেলে প্রায় ফাঁকা। ফলে এসব পণ্য কেনার মতো মানুষ নেই। এসব ব্যবসায়ীর অনেকে আবার গ্রামের বাড়ি যান না। গেলেও আগের রাতে রওনা দেন। ফলে এই সুযোগটি হাত ছাড়া করতে চান না অনেকে। মানুষ কম থাকলেও কোরবানির গরুতো আছে। তাদের খাদ্য সচরাচর পাওয়া যায় না। এই সুযোগে দু’পয়সা কামিয়ে নিচ্ছেন এই ফুটপাত ব্যবসায়ীরা।

কথা হয় ফুটপাত ব্যবসায়ী মতিনের সঙ্গে। তিনি জানান, তার বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও। এয়ারপোর্ট থেকে বাসে উঠলে যেতে লাগে দুই থেকে আড়াই ঘন্ট। এজন্য কোনো টেনশন নেই। বাড়ি যাব মঙ্গলবার রাতে। এখন বসে না থেকে কিছু টাকা আয় করতে এই উদ্যোগ নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রতি আঁটি ঘাসের দাম ২০ টাকা। কিনেছি এর চেয়ে অনেক কম দামে। কিন্তু একটু বেশি লাভেই বিক্রি করতে চাই।’ তার ভাষায়- লাখ টাকা গরু কিনবার পারব, আর ঘাস কিনতে গায়ে বাজব ক্যান।’

Advertisement

জানা গেছে, ভুসি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে, খড় বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা আঁটি। এছাড়া কোরবানির পশুর মাংস কাটতে চটি, প্লাস্টিক ওয়ালমেট ও ঝুড়ি বিক্রি করছেন অনেকে। এসবের দাম সাইজ অনুসারে।

আরজু নামের এক ব্যক্তি জানান, কিছু কিছু জিনিস প্রতি বছরই কিনতে হয়। এর মধ্যে চাটাই অন্যতম। চাটাইয়ে বসে মাংস কাটা সহজ। প্লাস্টিক পেপার কিনলে দাম বেশি পড়ে আবার, ছিঁড়েও যায়। ফলে চাটাই ভালো। দুটি জিনিস নিয়েছি ৩০০ টাকায়। এ দিয়েই হয়ে যাবে।’

ঘাস কিনতে এসেছে কিশোর আল দ্বীন। সে জানায়, গরুকে ঘাস খাওয়াতে ভালো লাগে। রোববার (১৯ আগস্ট) বাবা গরু কিনে এনেছেন। আমরা সবাই এর সঙ্গে খেলা করছি। ঘাস দিলে সে ভালো খায়। ঘাস দেখতেও বেশ মজার। তাই এক আঁটি নিয়ে যাচ্ছি।’

এমএ/এসআর/জেআইএম

Advertisement