জাতীয়

দক্ষিণবঙ্গের বাস ছাড়ছে দেরিতে

ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের যাত্রা স্বস্তির হবে- এমন কথা বলা হলেও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে অস্বস্তি। উত্তরবঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গের ঈদযাত্রার যানবাহন সঠিক সময়ে কাউন্টার ছাড়লেও শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের বাসগুলো।

Advertisement

বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া-কাওড়াকান্দি এবং দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটের এক পাশে ধীর গতি ও অপর পাশে দীর্ঘ যানজটের কারণে শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, দেড় থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে ছাড়ছে বাস। এ সমস্যা আজ (সোমবার) বিকেল নাগাদ আরও ভয়াবহ হতে পারে।

যদিও শুক্রবার মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, এবারের ঈদ যাত্রা স্বস্তি ও আরামদায়ক হবে। রাস্তায় যেসব স্থানে সমস্যা ছিল তার সমাধান করা হয়েছে।

ঈগল পরিবহনের ম্যানেজার শামসুল ইসলাম জানান, ঈদযাত্রায় আমাদের প্রস্তুতি থাকলেও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে দীর্ঘ যানজটের কারণে বাস বিলম্বে যাচ্ছে ও কাউন্টারে ফিরছে। এ সমস্যা কমার চেয়ে বিকেল নাগাদ আরও বাড়তে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

Advertisement

সোহাগ পরিবহনের কল্যাণপুর কাউন্টারের ম্যানেজার সাইফুজ্জামান জানান, আমরা এখনও পর্যন্ত সিডিউল বিপর্যয়ে পড়িনি। কারণ, আমাদের স্বাভাবিক শিডিউলের চেয়ে ঈদে বাস কম চলে। তবে এসি বাস যথা সময়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওয়ানা দিতে পারলেও নন এসি বাস ছাড়তে দেরি হচ্ছে।

শ্যামলী পরিবহনের যশোরের যাত্রী মুনসুর আলী বলছেন, শিডিউল ঠিক নেই। সকাল ৯টার বাস এখনো আসেইনি। জানি না আজ বাড়ি ফিরতে পারবো কি-না।

শ্যামলী কাউন্টারের ম্যানেজার আলমগীর হোসেন জানান, ৮টার বাস সাড়ে ১১টায় ছেড়ে গেছে সর্বশেষ।

এসপিগোন্ডেন লাইন, একে ট্রাভেলস ও সৌখিন পরিবহনের খোঁজ নিয়ে ও সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

Advertisement

এসপি গোল্ডেন লাইনের সাতক্ষীরার যাত্রী মেহেরুল হাসান বলছেন, কাউন্টারে এসে শুনছি কাল রাত থেকে যানজটের কারণে বাস দেরিতে ছাড়ছে। বউ-বাচ্চা নিয়ে কাউন্টারের সামনে বসে থাকা ছাড়া উপায় দেখছি না।

এ কে ট্রাভেলসের কাউন্টার কর্মকর্তারা জানান, সাতক্ষীরা থেকে কাল বিকেল সাড়ে ৪টায় ছেড়ে আসা বাস ১৮ ঘণ্টায় ঢুকেছে রাজধানীতে। এমন দশা আমাদের প্রত্যেকটা বাসেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে দক্ষিণবঙ্গ রুটের অধিকাংশ পরিবহনই পড়েছে শিডিউল বিপর্যয়ে।

জেইউ/এনএফ/জেআইএম