ঈদুল আজহার আগে সোমবার শেষ কর্মদিবসে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় অনেকটাই কর্মচাঞ্চল্যহীন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি খুবই কম, সচিবালয়ে বিরাজ করছে ছুটির আমেজ। অফিসে এসে হাজিরা দিয়েই অনেকে গ্রামের বাড়িতে যেতে ছুটছেন রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল কিংবা লঞ্চঘাটের দিকে।
Advertisement
সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়; গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়; তথ্য মন্ত্রণালয়; কৃষি মন্ত্রণালয়; আইন মন্ত্রণালয়; পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়; ভূমি মন্ত্রণালয়; খাদ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি খুবই কম। বেশিরভাগ কক্ষই খালি পড়ে আছে। কোনো কর্মচাঞ্চল্য নেই। করিডোরগুলো একেবারেই ফাঁকা।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাপ্তাহিক ছুটির পর দুই কর্মদিবসের পর আবার ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে, এরপর আবার সাপ্তাহিক ছুটি। তাই এবার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউ কেউ মাঝখানের দুই কর্মদিবস ছুটি নিয়ে টানা ৯ দিনের ছুটি কাটাবেন।
সচিবালয়ে দায়িত্ব পালনকারী বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা জানিয়েছেন, ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশের মতো।
Advertisement
বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ব্যাগ নিয়ে সচিবালয় ত্যাগ করতে দেখা গেছে।
ঈদে যারা ঢাকায় থাকবেন তারাই মূলত অফিস করছেন। তারাও ব্যস্ত ছিলেন ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা বিনিময়ে। ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস, তার ওপর সোমবার সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষেধ। তাই দর্শনার্থী অভ্যর্থনা কক্ষটি প্রায় ফাঁকা দেখা গেছে। সবগুলো ভবনের লিফটের সামনের অন্যান্য দিনের মতো মানুষের ভিড় নেই। অনেক লিফটম্যানকে সচিবালয়ে যাতায়াতকারী বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্তা ব্যক্তিদের কাছ থেকে ঈদের বখশিস আদায়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।
আগামী বুধবার (২২ আগস্ট) দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে। তাই মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার (২১, ২২ ও ২৩ আগস্ট) সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের ছুটি। এরপর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এক্ষেত্রে এবার ঈদে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা ৫ দিনের ছুটি ভোগের সুযোগ পাচ্ছেন।
আরএমএম/এমবিআর/জেআইএম
Advertisement