মতামত

ঈদযাত্রায় চাই স্বস্তি

মাটির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষজন। ঈদযাত্রায় সড়ক-মহাসড়কে ব্যাপক চাপ পড়ে। সঙ্গতকারণেই যাত্রা নির্বিঘ্ন করার সর্বাত্মক চেষ্টা থাকতে হবে। মানুষজন যেন নির্বিঘ্নে স্বস্তিদায়ক অবস্থায় বাড়ি ফিরতে পারে সেটি নিশ্চিত করাটাই এই মুহূর্তের কর্তব্য।

Advertisement

ঘরমুখো যাত্রীদের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে যেকোনো মূল্যে রাস্তা সচল রাখার কথা বলছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মন্ত্রীর এই কথা যেন কেবল কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে। মানুষজন কাজে এর প্রমাণ দেখতে চান।

আগামী ২২ আগস্ট বুধবার পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদে ঘরমুখো মানুষজন রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন বেশ কদিন আগে থেকেই। ফলে বাস, লঞ্চ, রেলস্টেশনে মানুষের ভিড় বেড়েছে। এই সময়ে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তারও আগে টার্মিনাল থেকে বের হতে এবং প্রবেশ করতে গিয়েই যানবাহনগুলোর লেগে যাচ্ছে অনেক সময়। সড়ক পথে রাজধানী থেকে বের হওয়া ও প্রবেশের মূল তিনটি পথ গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে লোকজনকে পোহাতে হচ্ছে নানা ঝক্কি। এ কারণে এখানেই অনেক সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে এ ব্যাপারে জরুরিভিত্তিতে দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৪০ জেলায় যাতায়াতে গাবতলী আন্তজেলা বাস টার্মিনালের আগে-পরে রাতে দীর্ঘ যানজট হচ্ছে। এই পথের মূল সমস্যা অব্যবস্থাপনা ও যানবাহনের এলোমেলো চলাচল। মহাখালী টার্মিনাল থেকে বাস আবদুল্লাহপুর, টঙ্গী-ভোগড়া বাইপাস ও টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় দিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যায়। কিন্তু এই পথেও বাড়তি চাপে যানজট হচ্ছে।

Advertisement

সড়কপথে রাজধানী ঢাকা থেকে বের হওয়ার এবং প্রবেশের মূল তিনটি পথ চালু রাখতে হবে যে কোনো মূল্যে। মূলত গাড়িগুলো এলোপাতাড়ি চলাচলের কারণেই যানজট লেগে থাকে। এজন্য চালকরা যাতে শৃঙ্খলা মেনে চলে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে আরো বাড়াতে হবে পুলিশি তৎপরতা। যে কোনো মূল্যে তিনটি বাস স্টেশনকে সচল রাখতে হবে। মানুষজন ঈদযাত্রায় বেরিয়ে শুরুতেই যেন ধাক্কা না খায়।

শুধু ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে যানজট দেখা দেয়। প্রয়োজনে সামরিক-আধাসামরিক বাহিনীকেও রাস্তার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কাজে লাগানো যেতে পারে জনস্বার্থে। ঈদে প্রতি বছরই লাখ লাখ মানুষ তাদের কর্মস্থল ছেড়ে যায় আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে উৎসব করতে। সেই যাত্রাকে যতোটা সম্ভব বিড়ম্বনামুক্ত করা যায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকাই কাম্য। যাত্রাপথের বিড়ম্বনায় ঈদের আনন্দের সামান্য ঘাটতিও যেন না হয় সেটা নিশ্চিত করাই এই মুহূর্তের কর্তব্য।

এইচআর/জেআইএম

Advertisement