আটলান্টিক মহাসাগরের রহস্যময় বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল নিয়ে আলোচনা আজকের নতুন নয়। দশকের পর দশক ধরে এ আলোচনা চলে আসছে। জাহাজ থেকে শুরু করে বিমান এখানে এলেই লাপাত্তা হয়ে যায়! এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। কেন এমন হয়? উত্তর কারোই জানা নেই।
Advertisement
তবে সম্প্রতি একদল গবেষক জানান, ‘রাফ ওয়েভ’ বা পাগলাটে ঢেউয়ের কারণেই নাকি এমন হয়। তারপরও নতুন করে রহস্য ঘনিয়ে উঠল বারমুডা দ্বীপপুঞ্জ ঘিরে। এক গুপ্তধন-সন্ধানী দাবি করেছেন, তিনি ওই অঞ্চলের সমুদ্রের তলায় খুঁজে পেয়েছেন ভিনগ্রহীদের মহাকাশযান!
> আরও পড়ুন- ১২ বছর পর পর ফোটে যে ফুল
গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, অনুসন্ধানকারীর নাম ড্যারেল মিকলস। তিনি নিয়মিতভাবে ওই অঞ্চলের সমুদ্রের তলায় খুঁজে চলেছেন জাহাজ বা বিমানের ধ্বংসাবশেষ। ‘ডিসকভারি চ্যানেল’র ‘কুপারস ট্রেজার’ নামের এক ধারাবাহিকে তিনি এই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন।
Advertisement
এই অনুসন্ধানের কাজে সাহায্য করেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু গর্ডন কুপার। তিনি পেশাগতভাবে নাসার একজন মহাকাশচারী। তিনি একটি ম্যাপ তৈরি করেছেন, যেখানে সমুদ্রের তলদেশে কোথায় কোথায় জাহাজের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে তা চিহ্নিত করা আছে।
> আরও পড়ুন- দিনের আকাশে ‘ছোটদের চাঁদ’!
অনুসন্ধান চালাতে চালাতে তারা খুঁজে পেয়েছেন যে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ, তা এই পৃথিবীর নয়। ওই জাহাজের উপাদান পৃথিবীর কোনো ধাতু নয়। ওটা অন্য জৈব পদার্থের বিকৃত অংশও হতে পারে না। ড্যারেল দাবি করেছেন, ‘ওটা একেবারেই আলাদা। প্রকৃতিতে পাওয়া যায়, এমন যে যে উপাদানের সঙ্গে আমি পরিচিত তার সঙ্গে এর কোনো মিল নেই।’
এতেই ঘনিয়ে উঠেছে রহস্য। তাহলে কি অন্য গ্রহের মহাকাশযান ওই অঞ্চলে প্রবেশ করার পর তার সলিল সমাধি হয়েছিল? ড্যারেল জানান, গর্ডন অ্যালিয়েনের অস্তিত্বে বিশ্বাসী। তিনি বিশ্বাস করেন, একটি নয়, খুঁজলে আরও অনেক অপার্থিব বস্তুর সন্ধান পাওয়া যাবে সমুদ্রতলে।
Advertisement
এসইউ/জেআইএম