হাটে দুটি ছাগল পাশাপাশি রাখা। প্রতিটির দাম হাঁকা হচ্ছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। শুনেই ভিড় করছে মানুষ। চকচকে সাদা-কালো রঙের বিশাল আকৃতির ছাগল দুটি একনজর দেখছেন। অনেকে আবার মোবাইলে চিত্র ধারণ করছেন।
Advertisement
রাজধানীর কমলাপুরে অস্থায়ী পশুর হাটের রেলক্রসিংয়ের পাশে এই ছাগল দুটি নিয়ে বসেছেন বগুড়া থেকে আসা মামুন নামের এক বিক্রেতা।
তিনি বলেন, নিজের সন্তানের মতো ছাগল দুটি লালনপালন করেছি। প্রতিদিন দুই থেকে আড়াইশ টাকার চাল ভুসি লাগে। ফ্যানের বাতাস ছাড়া ঘুমায় না। প্রতিটি ছাগলের ওজন দুই মণ। হাটে আনার আগে বাড়িতে অনেকে কেনার জন্য যোগাযোগ করছে। দামে বনেনি তাই দেইনি। বাড়তি লাভের আশায় বগুড়া থেকে ঢাকায় এনেছি। অনেকে দাম জিজ্ঞাসা করেছে। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম কেউ বলেনি। আজকে দুপুরে হাটে এনেছি, আশা করছি, কালকের মধ্যে বিক্রি করতে পারবো।
রাজধানীর বিভিন্ন অস্থায়ী হাট ঘুরে দেখা গেছে, সব হাটেই গরুর পাশাপাশি আলাদা জায়গায় ছাগল ও বেড়া তোলা হয়েছে। যাদের বাজেট কম তারা কোরবানির জন্য ছাগল কিনছেন। আবার অনেকে গরুর পাশাপাশি কোরবানির জন্য চাগলও কিনছেন। তাই কোরবানির ঈদে গরু-মহিষের সঙ্গে ছাগলেরও বেশ চাহিদা রয়েছে।
Advertisement
নারায়ণগঞ্জ থেকে ২০টি খাসি নিয়ে আফতাবনগর হাটে এসেছেন হাবিবুর রহমান। বিভিন্ন আকৃতির খাসিগুলোর দাম ১৫ থেকে ৫০ হাজার পর্যন্ত হাঁকাচ্ছেন তিনি। এ পর্যন্ত তিনটি খাসি বিক্রি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখনো হাট পুরোপুরি জমে উঠেনি।
এদিকে কমলাপুর হাটে ছাগল কিনতে আসা রোকসানা বেগম বলেন, কোরবানির জন্য আমার যে বাজেট তাতে গরু কেনা সম্ভব নয়। তাই দুটি ছাগল কিনলাম। হাসিল বাদে দাম পড়েছে ২৭ হাজার টাকা।
দাম কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাগলের দাম অকেন বেশি। আমি যে দামে ছাগল কিনলাম, হিসেব করলে মাংসের কেজি ১২ থেকে ১৩শ টাকা টাকা পড়েছে। কিন্তু বাজারে খাসির মাংস বিক্রি হয় ৮০০ টাকা কেজি। দাম ছাড়ছে না ব্যাপারীরা, কী আর করা বাড়তি দামেই ছাগল কিনতে হচ্ছে।
দাম বেশি কেন জানতে চাইলে ছাগল বিক্রেতা সেলিম জানান, সবকিছুর দাম বেড়েছে। চাল ভুসির দাম বেড়েছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা। সব মিলিয়ে একটি ছাগল লালন-পালন করতে যে খরচ হয় তাতে এর চেয়ে কমে বিক্রি করলে পোষায় না।
Advertisement
এসআই/জেডএ/পিআর